![ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |](https://www.dailyictnews.com/cloud/archives/fileman/ICT-NEWS-LOGO-2024-55px.png)
শনিবার ● ১০ নভেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবায় ইলেকট্রনিক হেলথ রেজিস্টার
ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবায় ইলেকট্রনিক হেলথ রেজিস্টার
ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে নতুন নতুন পরিকল্পনা ও কৌশল বাস্তবায়নে হাত দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে অফিস উপস্থিতি তদারকী করা হবে। দেশের সকল নাগরিকের তথ্য সংবলিত একটি স্থায়ী ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেজিস্টার তৈরির কাজ এখন দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সরকারী হাসপাতালগুলো অটোমেশনের কাজ শুরু হয়েছে। হাসপাতাল অটোমেশনের উদ্দেশ্য হলো হাসপাতালের সকল কাজ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পাদন করা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মোঃ সেফায়েত উল্লাহ জানান, ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে গত কয়েক মাসে অনেক নতুন নতুন পরিকল্পনা ও কৌশল সংযোজিত হয়েছে। সারাদেশে স্বাস্থ্য সেক্টরের সার্বিক কার্যক্রমে বেশ গতি বেড়েছে। পাশাপাশি কার্যক্রমগুলোতে আগের তুলনায় স্বচ্ছতা এসেছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করার আর কোন সুযোগ নেই বলে জানান মহাপরিচালক।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নাগরিকগণ এখন সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসকের কাছ থেকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ নিতে পারছেন। সেজন্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে (মোট ৪৮২টি হাসপাতাল) একটি করে মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে। যেকোন মানুষ এই সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এসব মোবাইল ফোনের নম্বর স্থানীয় পর্যায়ে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী কোন না কোন চিকিৎসক এই মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করেন। স্থানীয় জনগণ এসব মোবাইল নম্বরে ফোন করে হাসপাতালে না এসেই বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারেন। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ৮টি হাসপাতালে উন্নত মানের টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে। এগুলোর মধ্যে ৩টি বিশেষায়িত হাসপাতাল (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট), ৩টি জেলা হাসপাতাল (সাতক্ষীরা, নীলফামারী ও গোপালগঞ্জ) ও ৩টি উপজেলা হাসপাতাল (পীরগঞ্জ, দাকোপ ও দেবহাটা)। এই সেবা চালুর ফলে উপজেলা ও জেলা পর্যাযয়ের হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা আধুনিক মানের টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারছেন। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ ও ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ওয়েব ক্যামেরা প্রদান করা হয়েছে। ফলে নিম্ন পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীদের জন্য উচ্চ পর্যায়ের হাসপাতালসমূহে কর্মরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওয়েব ক্যামেরাযুক্ত মিনি ল্যাপটপ কম্পিউটার সরবরাহ করা শুরু হয়ে গেছে। এসব মিনি ল্যাপটপে তারহীন ইন্টারনেট সংযোগ থাকছে। টেলিমেডিসিন সেবা প্রদানের কাজে ল্যাপটপগুলো ব্যবহার করা হবে। যেসব রোগীর চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হবে, সেসব রোগীর জন্য ভিডিও কনফারেন্স চালু করে উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এর ফলে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসকের অভাব পূরণ করা যাবে। সকল উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে আঙ্গুলের ছাপ শনাক্তকরণের মাধ্যমে অফিস উপস্থিতি তদারকীর পদ্ধতি চালু হচ্ছে। এসব মেশিন ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে।