মঙ্গলবার ● ৬ নভেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » অবৈধ ভিওআইপির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিটিসিএলের সাবেক এমডিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধ ভিওআইপির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিটিসিএলের সাবেক এমডিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধ ভিওআইপির মাধ্যমে ২০৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিফোন কোম্পানি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেডের (বিটিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), বর্তমান পরিচালক, সদস্য, টেলিটকের মহাব্যবস্থাপকসহ (জিএম) ১৪ জনের নামে পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপপরিচালক এসএম সাহিদুর রহমান দুটি, উপসহকারী পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাত দুটি ও মো. নাজিম উদ্দিন গতকাল রমনা থানায় এসব মামলা করেন।
এসব মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- বিটিসিএলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. আবু সাঈদ খান, তত্কালীন পরিচালক (আন্তর্জাতিক) মো. মাহফুজার রহমান, সদস্য মো. মাহাবুবুর রহমান (রক্ষণাবেক্ষণ ও চলাচল) ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তৌফিক, বিভাগীয় প্রকৌশলী (আইটিএস) একেএম আসাদুজ্জামান ও সাবেক বিভাগীয় প্রকৌশলী (আইটিএস) মো. আবদুল হালিম। অন্য আসামিরা হলেন- ডিজিটেক পিটিই লিমিটেড সিঙ্গাপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জিয়াউর রহমান, মেসার্স আই পাওয়ার কমিউনিকেশন্স পিটিই লিমিটেডের পরিচালক মো. মাকসুদুল লতিফ, রাজটেক লিমিটেডের ব্যববস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হাসিবুল বাসার, ক্যারিয়ার রিলেশনের পরিচালক এসএম ইসতিয়াক আহমেদ, মেসার্স এক্সিলেন্স ট্রেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) মহিউদ্দন সিদ্দিক, এনটিএস গ্লোবাল পিটিই লিমিটেড সিঙ্গাপুরের সিইও মো. নাজমুল কাদির, লোকাল এজেন্ট মহিউদ্দিন সিদ্দিক ও মেসার্স সিম্পল টেলিকম লিমিটেড ইউকের পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
গতকাল দুদকের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সম্মেলনে সাংবাদিকদের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসএম সাহিদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানে ২০৫ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। প্রাইভেট ক্যারিয়ারদের সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে বিটিসিএলের সরকারি কোনো নীতিমালাও নেই।’
প্রসঙ্গত, বিটিসিএলের সাবেক সদস্য (রক্ষণাবেক্ষণ ও চলাচল) ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তৌফিককে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। ২০০৮ সালের মার্চে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৫ আগস্ট রমনা থানায় মামলা করে দুদক। ২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি ওই মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, অবৈধ ভিওআইপি বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য গত মার্চে দুদকের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠায় টেলিযোগাযোগ-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশে প্রতিদিন বৈধ ও অবৈধ পথে পাঁচ কোটির বেশি বৈদেশিক কল আসে। ভিওআইপি সিন্ডিকেট নানাভাবে এসব কলের রেকর্ড গায়েব করে। ওই সিন্ডিকেট বিভিন্ন ক্যারিয়ারের বৈদেশিক ইনকামিং কলের তালিকা মুছে ফেলে অবৈধভাবে বৈদেশিক ক্যারিয়ার নিয়োগ ও লোকাল এজেন্টদের মাধ্যমে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করে। অভিযুক্ত পাঁচটি ক্যারিয়ার হলো- সিঙ্গাপুরের ডিজিটেক পিটিই লিমিটেড, মেসার্স আই পাওয়ার কমিউনিকেশন্স, এনটিএস গ্লোবাল পিটিই লিমিটেড, যুক্তরাজ্যের মেসার্স সিম্পল টেলিকম লি. ও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিস্টোকল সার্ভিস ইনকরপোরেশন।