সোমবার ● ২২ অক্টোবর ২০১২
প্রথম পাতা » @নারী » মহিলা সাইবার ক্যাফে ৪ মাস ধরে বন্ধ
মহিলা সাইবার ক্যাফে ৪ মাস ধরে বন্ধ
কক্সবাজারের মহিলাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাইবার ক্যাফটি কম্পিউটার বিকল হয়ে গত ৪ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে ইন্টারনেট প্রেমী মহিলারা ইন্টাররনেট সুযোগ-সুবিধা ও দেশ বিদেশে যোগাযোগ হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
সাইবার ক্যাফের প্রোগ্রামার সূত্রে জানা যায়, দেশের মহিলাদের জন্য প্রথম ও একমাত্র সাইবার ক্যাফ ২০১০ সালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যা পর্যায়ক্রমে আরও ৩০টি জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজার জেলায় পিছিয়ে পড়া মহিলা শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহার করে বহির্বিশ্বের সঙ্গে পরিচিতি ও যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাইবার ক্যাফটি প্রতিষ্ঠিত করে। এছাড়া সাইবার ক্যাফটিতে নরমাল সার্টিফিকেট কোর্সিং কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ও ইকমার্স অ্যান্ড ওয়েব ডিজাইন ডাটাবেজ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় মহিলা সংস্থা কক্সবাজার জেলার মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের সঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে এই সাইবার ক্যাফটি প্রতিষ্ঠা করে। একজন সরকারি প্রোগ্রামার, একজন ট্রেইনার ও ৩ জন ইন্টার্নি মহিলা দ্বারা জেলা পরিষদ ভবনের নিচ তলায় একটি কক্ষে সাইবার ক্যাফ কার্যক্রম চলছে। প্রথম পর্যায়ে ৪টি কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে পরিচালিত এই সাইব্যার ক্যাফটি মহিলাদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি হাতেকলমে ইন্টারনেটের ব্যবহারে এক অভূতপুর্ব সুযোগ করে দেয়। এখানে একজন ব্যবহারকারীর সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।
বিশেষ করে, নারী শিক্ষিত মহিলারা এই সাইবার ক্যাফটি ব্যবহার করে তাদের ইন্টারনেট জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করেছে এবং অজানাকে জানার জন্য জ্ঞানের পরিধিকে বিশ্বের সঙ্গে পরিচিতি করে তুলছে। কক্সবাজার সরকারি কলেজের গণিত (সম্মান) ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সালমা বিনতে সাদিয়া জানান, ইন্টারনেটের কারণে আজ পৃথিবী বিখ্যাত পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকা মালালা ইউসুফ জাইকে জেনেছে। মনের কোণে লুকানো নারী শিক্ষার প্রতি আকুল আগ্রহ সে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রথম প্রকাশ করেছে বিশ্ববাসীর কাছে।
জাতীয় মহিলা সংস্থার মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সে সহকারী প্রোগ্রামার আসাদ কামাল তানিম জানান, স্বল্প পরিসরে হলেও কক্সবাজারের একমাত্র মহিলা সাইবার ক্যাফটি নারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলের নারীদের কম্পিউটার ও ইন্টারনেট জ্ঞানের পরিধিকে আরও সমৃদ্ধি করেছে। তবে তিনি প্রতিষ্ঠা সময় থেকে কতজন ইন্টারনেট মহিলা ইউজার এ পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারে অংশগ্রহণ করেছিল তা বলতে পারেনি।
তিনি আরও জানান, কম্পিউটার বিকল হওয়ার সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই কম্পিউটারগুলো পুনঃসংস্কার করে আরও নতুন কয়েকটি কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে কক্সবাজারের শিক্ষার্থী মহিলাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিশ্বকে জানার সুযোগ করে দেয়া হবে।
-আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ (কক্সবাজার)