সোমবার ● ২২ অক্টোবর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » মধ্যপ্রাচ্যে সাইবার যুদ্ধ ॥ শঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল
মধ্যপ্রাচ্যে সাইবার যুদ্ধ ॥ শঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল
মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোর কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে টার্গেট করে যে সাইবার যুদ্ধ চলছে, এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল আক্রান্ত করতে পারে বলে দেশ দুটোর কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন। গত সপ্তাহেই নতুন একটি ক্ষতিকর ভাইরাস ধরা পড়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ মাসে আরও আগের দিকে এ ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। খবর এএফপির।
নেতানিয়াহু বলেন, তার দেশের কম্পিউটার সিস্টেমের ওপর সাইবার আক্রমণ সম্প্রতি অনেক বেড়ে গেছে। এর ক’দিন আগে প্যানেটা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছিলেন, ইরান মধ্যপ্রাচ্যে ডিজিটাল যুদ্ধ শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরেই ধারণা পোষণ করে আসছে যে, ইরান মার্কিন স্বার্থ টার্গেট করে সাইবার যুদ্ধ চালানোর চেষ্টা করছে। আগস্ট মাসে প্যানেটা প্রথমে প্রকাশ্যে এ ব্যাপারে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর নেটওয়ার্কে টার্গেট করে পরিচালিত হামলার নেপথ্যে যে ভাইরাস ছিল তার নাম ‘শামুন’। এর ফলে কোম্পানির ৩ লাখের বেশি কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আঘাত হানার দু’সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে এবং এর ফলে কোম্পানির তেল উৎপাদনে কোন ছেদ পড়েনি বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল কোম্পানি। প্যানেটা আরও জানান, সৌদি-মার্কিন যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক্সন এবং কাতারের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিও আক্রমণের শিকার হয়েছে। সৌদি আরবের তেল উৎপাদন বিঘিœত না হলেও রফতানি বিলম্বিত হওয়ায় তেলের দাম কিছুটা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি তেলের দর উর্ধমুখী ছিল।
প্যানেটা সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ‘সাইবার পার্ল হারবার’ হামলার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিনি ইরানকে পরোক্ষভাবে হুঁশিয়ার করে বলেছেন তার দেশের সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই যে কোন ধরনের সাইবার হামলা ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, সাইবার যুদ্ধ চালানোর জন্য ইরানের সেনাবাহিনী ২০১১ সালে ‘সাইবারকোর’ গঠন করেছিল। এর একটি উদ্দেশ্য ছিল, ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনা টার্গেট করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সাইবার হামলা প্রতিহত করা। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা এ কথাও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব টার্গেট করে সম্প্রতি সাইবার হামলা যে ইরানই চালিয়েছে সে ব্যাপারে কোন জোরালো প্রমাণ তাদের হাতে নেই। তবে ইরানকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন বা রাশিয়ার সাইবার হামলার ক্ষমতার কথা আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জানা ছিল। কিন্তু তেহরান যে এ পথে এত দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করেছে তা দেখে ওয়াশিংটন কিছুটা বিস্মিত।