সোমবার ● ১৫ অক্টোবর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » সেলফোন ক্যামেরা বিড়ম্বনায় বিরক্ত বন্ড তারকা!
সেলফোন ক্যামেরা বিড়ম্বনায় বিরক্ত বন্ড তারকা!
রুপালি পর্দার নামকরা অভিনেতা ড্যানিয়েল ক্রেইগ এখন বিশ্ববাসীর কাছে বন্ড তারকা হিসেবে পরিচিত। জেমস বন্ড সিরিজের তারকাখ্যাতির পাশাপাশি সেলফোনের ক্যামেরার কারণে ব্যক্তিগত জীবন বিড়ম্বনায় পড়েছে বলে অভিযোগ তার। এ কারণে তিনি এখন অসহায়ও বোধ করেন। খবর এএনআইয়ের।
একসময় পানশালায় গিয়ে চুটিয়ে পান করা তার খুব প্রিয় কাজ ছিল। কিন্তু ক্রেইগ এখন যেখানেই যান, পেছনে থাকে তার ভক্তকুল। পান করতে দেখলেই তাদের পকেট থেকে বেরিয়ে আসে ক্যামেরাযুক্ত সেলফোন। ভক্তদের জ্বালায় এখন বেচারা পানশালায় যাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন। ক্যামেরা সেলফোনওয়ালা ভক্তদের এমন কাজে তিনি চরম বিরক্ত বোধ করেন বলে জানা গেছে।
৪৪ বছর বয়সী ক্রেইগ বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ার পান করাটা এখন ভীষণ মিস করেন। কিন্তু তার কর্মকাণ্ড সেলফোন ক্যামেরায় আটকা পড়বে এবং তা ইন্টারনেটে ছাড়া হবে- এ চিন্তায় তিনি রীতিমতো অস্থির। তারকা হলেও তিনি মানুষ। অন্য দশজনের মতো তারও ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু একটা আছে। ভক্তদের অবশ্যই বিষয়টি বোঝা উচিত বলে তিনি মনে করেন। ২০০৬ সালে জেমস বন্ড হিসেবে ক্যাসিনো রয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। তারপর থেকে প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে তার দেখা নেই। প্রায় দশ বছরেই তার জীবন একেবারে পাল্টে গেছে বলে তিনি জানান।
তার ভাষায়, ‘একসময় সন্ধ্যাবেলায় আরাম করার জন্য পানশালায় যেতাম। বন্ধুরা মিলে মনের সুখে পান করতাম। জীবনে কী হবে, কী হবে না তা নিয়ে কোনো চিন্তাই ছিল না। কিন্তু এ ১০ বছরে অনেক কিছুই বদলে গেছে।’ এর পেছনে সেলফোনের ব্যাপক অবদান রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
ভক্তরা যখন একসঙ্গে তার ছবি তুলতে থাকে, তা মাঝেমধ্যে তার জন্য রীতিমতো বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায় বলে তিনি জানান। তার ভাষায়, ‘আমি খুব বেশি হলে এক বা দুজনকে থামাতে পারি। কিন্তু আজকাল তো অনেকের হাতেই ক্যামেরা সেলফোন দেখা যায়। ভক্তদের কাজ দেখে তো মনে হয়, ছবি তোলা তাদের অধিকার এবং এ জন্যই তাদের জন্ম হয়েছে। বিষয়টি আমার জন্য খুবই বিরক্তি ও বিব্রতকর। কিন্তু সবাইকে থামানোর ক্ষমতা তো আমার নেই।’
সেলফোনের ক্যামেরা নিয়ে এভাবেই নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন দুর্ধর্ষ এ গুপ্তচর। -এসবিবি