সোমবার ● ১৫ অক্টোবর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারে হতাশা, একাকিত্ব বাড়ে
অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারে হতাশা, একাকিত্ব বাড়ে
ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে যারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করেন না, বেশির ভাগ সময় যারা অনলাইনে কাটান তাদের হতাশা, একাকিত্বে ভোগার সম্ভাবনা বেশি। একপর্যায়ে বাস্তব জগত্ থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে যান এসব ব্যক্তি। টেক্সাস ক্রিশ্চিয়ান ইউনিভার্সিটির দুই গবেষক সম্প্রতি এ তথ্য জানান। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে- কম্পালসিভ ইন্টারনেট ইউজ (তাড়নার বশবর্তী হয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা- সিআইইউ) ও এক্সসেসিভ ইন্টারনেট ইউজ (ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা- ইআইইউ)।
টেক্সাস ক্রিশ্চিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাজির ও আন্ড্রিও এম লেডবেটার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালান। তাদের গবেষণা অনুযায়ী, নিজেকে প্রকাশ ও নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রবণতা থেকে সাধারণত মানুষ অনলাইনে আসেন। এরপর ধীরে ধীরে এখান থেকেই প্রথমে তৈরি হয় সিআইইউ এবং পরবর্তী সময়ে আসে ইআইইউ। এর পরই শুরু হয় মানসিক সমস্যা ।
এ দুই গবেষক আরও জানান, অনলাইনে নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠার পর ব্যক্তিরা এ নেটওয়ার্কে সারাক্ষণ যুক্ত থাকার জন্য বারবার অনলাইনে আসেন। যেসব মানুষের মুখোমুখি যোগাযোগের দক্ষতা খারাপ তাদের অনলাইনে আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ থেকেই আসে সিআইইউ।
নতুন এ গবেষণার ফল আগের এ-সংক্রান্ত গবেষণার ফল থেকে ভিন্ন। আগের বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছিল, যেসব ব্যক্তি উদ্বিগ্নতায় ভোগেন তারা অনলাইন যোগাযোগব্যবস্থাকে অপেক্ষাকৃত কম হুমকিস্বরূপ মনে করেন এবং অনলাইনে বেশি সময় কাটান।
এর বিপরীতে মাজেল ও লেডবেটারের গবেষণা অনুযায়ী, কেবল উদ্বিগ্নতায় ভোগা ব্যক্তিরাই অনলাইনে বেশি থাকেন না বরং তাড়নার বশবর্তী হয়ে অনলাইনে থাকা ব্যক্তিরাও উদ্বিগ্নতায় ভোগেন।
এ ছাড়া এ গবেষণায় তাড়নার বর্শবর্তী হয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হয়েছে। এখানে বলা হয়, অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অনলাইনকে যোগাযোগের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি মনে করেন। উদ্বিগ্নতার জন্য দায়ী সিআইইউ। ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষতা অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ইআইইউ।
গবেষণা অনুযায়ী, হতাশা ও একাকিত্বের জন্য ইআইইউ নয় বরং দায়ী সিআইইউ, যেখানে মানুষ ইন্টারনেটে আসা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারেন না। সাউদার্ন কমিউনিকেশন জার্নালে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।