সোমবার ● ১ অক্টোবর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » নিষেধাজ্ঞা ডিঙ্গিয়ে চীনে ফেসবুক ব্যবহারকারী ৬ কোটি ৩৫ লাখ
নিষেধাজ্ঞা ডিঙ্গিয়ে চীনে ফেসবুক ব্যবহারকারী ৬ কোটি ৩৫ লাখ
চীনে ফেসবুক ও টুইটারের মতো সাইট বন্ধ থাকলেও প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে সাইটগুলো ব্যবহার করছে দেশটির তরুণ সমাজ। গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ওয়েব ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৩৫ লাখেরও বেশি। খবর ব্লুমবার্গের।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, চীনে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৩৫ লাখ। ২০০৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭৯ লাখ। সে বছরই চীনে পশ্চিমা সামাজিক ওয়েবসাইটগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া চীনে এখন ৩ কোটি ৫৫ লাখ ব্যক্তি টুইটার ব্যবহার করেন।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক গ্লোবাল ওয়েব ইনডেক্সের এ তথ্যের বিষয়ে ফেসবুক ও টুইটার কোনো মন্তব্য করেনি। চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রক্সি সার্ভারের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটগুলোয় ঢুকতে পারে। প্রক্সি সার্ভিসের সার্ভারগুলো দেশের বাইরে থাকে বলে ফিল্টার করা ওয়েবসাইটগুলো ব্রাউজিং করা ব্যবহারকারীদের জন্য কোনো কঠিন ব্যাপার নয়। এ কারণে চীনে সিনা ওয়েবোর মতো মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইটগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফেসবুক ও টুইটার ভালো অবস্থানে রয়েছে। গ্লোবাল ওয়েব ইনডেক্সের প্রতিষ্ঠাতা টম স্মিথের কাছ থেকে জানা গেছে এ তথ্য। তার ভাষায়, চীন সরকার যতই বলুক যে তাদের গ্রেট ফায়ারওয়াল অনেক শক্তিশালী, প্রকৃতপক্ষে এর নিরাপত্তাব্যবস্থা ভেদ করা কোনো সমস্যা না।
চীনের সামাজিক ওয়েবসাইটগুলো যথারীতি ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে। টেনসেন্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের কিউজোন ওয়েবসাইটটির সদস্যসংখ্যা ২৮ কোটি ৬৩ লাখ। ২৬ কোটি ৪১ লাখ চীনা সিনা ওয়েবো ব্যবহার করেন। গুগলের জনপ্রিয় সামাজিক ওয়েবসাইট গুগল প্লাস ১০ কোটি ৬৯ লাখ ব্যক্তি ব্যবহার করেন। সরকার সমর্থিত চায়না ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের বক্তব্য অনুযায়ী চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫১ কোটি ৩০ লাখ।