রবিবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলার পরিমাণ ১৭ গুণ বেড়েছে
যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলার পরিমাণ ১৭ গুণ বেড়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার কমান্ডের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল স্যামুয়েল কক্সের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর পেন্টাগন
লক্ষ্য করে চীন সাইবার হামলা চালাতে পারে। খবর রয়টার্সের।
পেন্টাগনের সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা তছনছ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে চীনারা অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে রয়টার্সকে জানান কক্স। তার মতে, পেন্টাগনের ভেতরের খবর চুরি করে তা পেন্টাগনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা চীনাদের উদ্দেশ্য।
শুধু হ্যাকাররাই নয়, চীনের অভিনেতারাও তথ্য চুরির সঙ্গে জড়িত বলে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের এক সরকারি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। দেশটির ইন্টেলিজেন্স বিভাগের শাখা ন্যাশনাল কাউন্টারইন্টেলিজেন্স এক্সিকিউটিভ প্রতিবেদনে জানায়, চীনা অভিনেতারা অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তির পেছনে জড়িত। কক্স বলেন, প্রতিনিয়ত এর পরিমাণ বাড়ছে।
চীনারা এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নেটওয়ার্কের ওপর দখল নিয়েছে কি না, তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কক্স কিছু বলতে রাজি হননি। এ সম্পর্কে চীনের দূতাবাস মুখপাত্রের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অতীতে চীনের কর্মকর্তারা এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
প্রতিরক্ষা বিভাগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সাইবারস্পেসে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা সাইবার কমান্ডের দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের একটি ইউনিট হিসেবে প্রায় দুই বছর আগে সাইবার কমান্ড গঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক এবং মহাকাশবিষয়ক প্রকল্প পরিচালনার পেছনে দেশটির কৌশলগত নির্দেশ বিভাগ বা স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড জড়িত। সাইবার যুদ্ধ ইউনিটকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইউনিট করার প্রস্তাবনা কার্যকরের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্স। প্রস্তাবনাটি বাস্তবতায় রূপ পেলে স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড ও আটটি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মিলিটারি ইউনিটের সমান হিসেবে সাইবার কমান্ডকে বিবেচনা করা হবে।
আটলান্টিক কাউন্সিল আয়োজিত সম্মেলনে কক্স বলেন, ‘আমাদের ধারণার চেয়েও দ্রুতগতিতে সাইবার হামলার আশঙ্কা বাড়ছে। ফলে সাইবার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও আগের চেয়ে অনেক বেশি।’
চীনকে সাইবার হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র দায়ী করলেও বিশ্বব্যাপী চলা সাইবার হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রও জড়িত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি ক্যাসপারস্কির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্প্যাম ছড়ানোর হিসেবে চীনের পরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ২০১০ সালে স্টাক্সনেট নামক বটনেট তৈরি করে ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড অচলের চেষ্টার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করা হয়। এ ভাইরাস দিয়ে একজন হ্যাকার আক্রান্ত কম্পিউটারের কিবোর্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করত। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এ ধরনের বটনেট তৈরিতে বেশ কিছু দেশ জড়িত বলে জানা গেছে।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) ও সাইবার কমান্ড প্রধান জেনারেল কিথ আলেকজান্ডার গত জুলাইয়ে বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অবকাঠামোয় সাইবার হামলা চালানোর পরিমাণ ১৭ গুণ বেড়েছে।