বুধবার ● ৩ আগস্ট ২০১১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিমানবন্দরে স্বয়ংক্রিয় এলার্ম ও ভিডিও সার্ভিলেন্স সিস্টেম স্থাপন !
বিমানবন্দরে স্বয়ংক্রিয় এলার্ম ও ভিডিও সার্ভিলেন্স সিস্টেম স্থাপন !
বদলে যাচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বিমানবন্দরগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে গড়ে তোলা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন নিরাপত্তা বলয়। বিমানবন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে স্থাপন করা হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় এলার্ম ও ভিডিও সার্ভিলেন্স সিস্টেম। যাত্রীদের দেহতল্লাশি, ব্যাগেজ ও কেবিন ব্যাগেজ স্ক্যানিং পদ্ধতিতেও আনা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসন (টিএসএ) এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রত্যয়ন অনুসারে বিস্ফোরকদ্রব্য ও ধাতব-অধাতব পদার্থ সনাক্ত করতে স্থাপন করা হচ্ছে সিটি প্রযুক্তির স্ক্যানিং মেশিন। এছাড়াও বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা কার্যক্রম তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য খোলা হচ্ছে ‘নিরাপত্তা কন্ট্রোল সেন্টার’।আন্তর্জাতিকমানের এই নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য ব্যয় হবে ২৮০ কোটি টাকা। যার পুরো অর্থ যোগান দেবে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল ডিফেন্স আইএনসি (ভিডিআই)। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সিএএবি’র ক্যাপিটাল বাজেট খাতে বছরে ৩০-৩৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়াও যাত্রী হয়রানি বন্ধ হবে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হুমকি থেকে বিমানবন্দর নিরাপদ থাকবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে নিরবচ্ছিন্ন ফ্লাইট চলাচল নিশ্চিত হবে।
জানা গেছে, বিমানবন্দরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থার (আইকাও) পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে কমপ্রেহেনসিভ সিকিউরিটি ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম চালু করার সুপারিশ করা হয়েছে। আইকাওয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। শাহজালালের নিরাপত্তায় সিএসএমএস প্রযুক্তি স্থাপনে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান ভিডিআই অর্থায়ন করতে প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বাংলাদেশ সরকার কিংবা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কোন আর্থিক ব্যয় বহন করতে হবে না। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রথম পর্যায়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইসিএও) এবং কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল ডিফেন্স আইএনসি’র মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান অবকাঠামো পরিদর্শন করে প্রকল্পের পরিধি নির্ধারণ করবে। তৃতীয় পর্যায়ে তাদের নিজস্ব অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় সিএসএমসি স্থাপন করবে। এজন্য চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অপারেশন এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি টিমকে বিনা ব্যয়ে প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। তবে কোন অবস্থাতেই কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠানটি অপারেশন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকবে না। বরং চুক্তির মেয়াদকাল পর্যন্ত বিনা ব্যয়ে সিএএবি’র অপারেশন টিমের সাথে অবজার্ভ ক্যাপাসিটিতে কাজ করবে। এক্ষেত্রে সিএসএমসি বাস্তবায়নে সিএএবি’র পক্ষ থেকে কোন লোকবল নিয়োগ প্রয়োজন হবে না।