বুধবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » আউটসোর্সিং করে রংপুরের চার যুবক স্বাবলম্বী
আউটসোর্সিং করে রংপুরের চার যুবক স্বাবলম্বী
।। শরিফুজ্জামান বুলু রংপুর ।।
তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রমকে এসএমই খাতের অন্তর্ভুক্ত করে এর উন্নয়নে ঋণ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের অবদান ক্রমে বাড়ছে। আউটসোর্সিং করে রংপুরের চার যুবক এখন স্বাবলম্বী। দেশে বসেই তারা আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা। বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করছেন আউটসোর্সিংয়ের প্রতিষ্ঠান। তারা হলেন, আউটসোর্সিং কোম্পানি ক্লিপিং পাথ ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসানুর রহমান দোলন, রংপুর সফটের পরিচালক আমিরুল ইসলাম রাজিব, আমান ওয়েবের পরিচালক আমানুর রহমান সুমন এবং ক্লিপিং বিডি ডটকমের পরিচালক বেলাল হোসেন।
শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে বৈধভাবে তারা রংপুরের মতো পশ্চাত্পদ জনপদে থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন। সে আয়ের সবটুকুই বৈদেশিক মুদ্রা। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর এ আয়ের পথটির নাম ‘আউটসোর্সিং’।
তারা দাবি করছেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের প্রধান উত্স তৈরি পোশাক রফতানি হলেও সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আগামী এক দশকে সে জায়গা দখল করতে সক্ষম হবে আউটসোর্সিং। তবে দক্ষ জনবলের অভাব, প্রয়োজনমাফিক ব্যান্ডউইথ ও দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগের অভাব, ইন্টারনেট সংযোগ আপ ডাউন করা, ব্যান্ডউইথের উচ্চমূল্য, বিদেশ থেকে টাকা আনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম (পেপ্যাল) না থাকা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকা এবং আউটসোর্সিং নিয়ে প্রতারণার কারণে সম্ভাবনাময় খাতটির কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হচ্ছে না।
ক্লিপিং পাথ ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসানুর রহমান দোলন বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পে সফলতার পেছনে রয়েছে সস্তা শ্রম। একইভাবে সে শ্রম কাজে লাগিয়ে আউটসোর্সিংও হতে পারে দেশের বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার। এ জন্য প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার জানা।
তিনি বলেন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট, ই-মেইল হ্যান্ডলিং, গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, আরটিকেল রাইটিংসহ অসংখ্য কাজ রয়েছে- যেগুলো কম্পিউটারে করা হয়। সে কাজগুলো ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোয় করতে যে পরিমাণ খরচ হয়, এ দেশের সস্তা শ্রমের কারণে খরচ হয় তার অনেক কম। এতে উভয় দেশই লাভবান হয়। তাই খরচ বাঁচাতে উন্নত দেশের লোকেরা ওই সব কাজ করার জন্য ওয়েবসাইটে কর্মী আহ্বান করে। ইন্টারনেটের কল্যাণে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসে যে কেউ কাজটি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ জমা দিয়ে এর মাধ্যমেই তার কাজের মজুরি গ্রহণ করতে পারেন। মজুরি নিয়ে দরকষাকষি করতে পারেন। এর নামই ‘আউটসোর্সিং’। যারা নিজের পছন্দমতো কাজ বেছে নিয়ে করেন, এ ক্ষেত্রে তাদেরই বলা হয় কন্ট্রাক্টর বা ফ্রিল্যান্সার।
তিনি বলেন, ইন্টারনেটে প্রতিদিন প্রচুর কাজের টেন্ডার হয়, যেগুলো বাংলাদেশের সব বেকার মিলে করলেও শেষ হবে না। প্রতিদিনই বাড়ছে এসব কাজের পরিমাণ। বিভিন্ন কাজের জন্য নানা স্তরের শিক্ষা, দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রয়োজন। তবে এমন কিছু কাজ সেখানে আছে, যা কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে মোটামুটি জ্ঞান থাকলে যে কেউ তা করে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন।
তিনি জনান, তার প্রতিষ্ঠান ক্লিপিং পাথ ডিজাইনে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইমেজ মাসকিং, ক্লিপিং, ফটো এডিটিংসহ যাবতীয় ছবির কাজ হয়। তার সব ক্লায়েন্ট আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের। একটি মাত্র কম্পিউটার আর বিটিসিএলের একটি ইন্টারনেট লাইন দিয়ে দেড় বছর আগে তিনি কাজ শুরু করেন। কাজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাসে মাসে কর্মীর সংখ্যা বেড়ে গিয়ে এখন তার অধীনে কাজ করেন ৩০ জন। এতে তার মাসিক আয় ৫ লক্ষাধিক টাকা। কর্মচারী, অফিস ভাড়া ও অন্যান্য খরচ মেটানোর পরও প্রতি মাসে তার হাতে থাকে দেড় লক্ষাধিক টাকা। তার বিশ্বাস, আগামী দুই বছরে তিনি আর ১০০ বেকারকে কাজ দিতে পারবেন। আগামী এক দশকে এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি দুঃখ করে বলেন, সরকারের অজ্ঞতার কারণে অথবা আন্তরিকতার অভাবে ফ্রিল্যান্সার বা কন্ট্রাক্টররা নানা সমস্যায় ভুগছেন। ফলে সম্ভাবনাময় খাতটি থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না তারা। প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। তাদের প্রধান সমস্যাগুলো হলা, প্রয়োজনমাফিক ব্যান্ডউইথ ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের অভাব, ইন্টারনেট সংযোগ আপ ডাউন করা, ব্যান্ডউইথের উচ্চমূল্য, বিদেশ থেকে টাকা আনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম না থাকা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকা ইত্যাদি।
তিনি বলেন, ছবির কাজ ও ওয়েবের কাজ করতে গেলে ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট লাইনের প্রয়োজন হয়। পাঁচ এমবিপিএস লাইন দিয়েও কাজ চালানো যায়। কিন্তু রংপুরে একমাত্র বিটিসিএল দিন-রাতে এক এমবিপিএস এবং শুধু রাতে দুই এমবিপিএস শেয়ারড লাইন দিয়েছে, যা অত্যন্ত কম এবং ধীরগতির। আবার মাঝে মধ্যে বেশকিছু সময় লাইন থাকে না বা খারাপ থাকে। ফলে অনেক সময় কাজ ডেলিভারি দিতে দেরি বা ডেটলাইন ফেল হয়। এতে ক্লায়েন্ট বিরক্ত হয়ে কাজ দেয়া বন্ধ করে দেয়। অন্যদিকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার (আইপিএস) ব্যবসায়ীরা রংপুরে একটি এক এমবিপিএস (ডেডিকেটেড) লাইনের বিল নিচ্ছে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা, যা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। অথচ বিটিসিএল পাঁচ এমবিপিএসের লাইন দিলে কোনো সমস্যাই থাকে না। তাতে গ্রাহকের খরচও ৩-৪ হাজার টাকার বেশি হবে না।
দোলন বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় বিদেশ থেকে কাজের বিল আনতে। পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত দেশে সর্বাধিক ব্যবহূত ও নির্ভরযোগ্য ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার করার মাধ্যম হচ্ছে পেপ্যাল। অধিকাংশ ক্লায়েন্ট পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট ছাড়া পেমেন্টই দিতে চায় না। অথচ বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের সঙ্গে পেপ্যালের কোনো লেনদেন নেই। কাজেই আমাদের বাধ্য হয়ে বিদেশে অবস্থানরত পরিচিত কারও পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হয়। তাতে ক্ষেত্রবিশেষে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকেই কমিশন দিতে হয়। আবার টাকাটি খোয়া যাওয়ারও ভয় থাকে। তারপর ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা অন্য কোনো উপায়ে সে টাকা দেশে আনতে আরও কিছু অর্থ ও সময় ব্যয় হয়। অর্থাৎ আমরা আয় করছি বৈধভাবে, কিন্তু পাওনা টাকা সংগ্রহ করছি অবৈধ পথে।
সরকার উদ্যোগ নিয়ে একদিনেই দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে পেপ্যালের লেনদেন করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এতে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার উপকৃত হবে। সরকারের রাজস্ব বাড়বে।
আহসানুর রহমান দোলন কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ভর্তি হন ভারতের ইন্দিরা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে। ভারত থেকে লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে দেশে আসার পর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশার আইটি বিভাগে সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখান থেকে ঢাকায় আউটসোর্সিং কোম্পানিতে যোগ দেন তিনি। সেখানে কাজ করার সময়ই মাথায় আসে তার তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি নিজেই এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেন।
একপর্যায়ে ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে এক চাচাকে সঙ্গে নিয়ে তার টাকায় ঢাকার উত্তরায় ক্লিপিং পাথ সেন্টার নামে একটি আউটসোর্সিং কোম্পানি দাঁড় করান। সেখানে সাফল্যের পর রংপুর এলাকায় নিজের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন নিয়ে চলে আসেন রংপুরে। নিজের পরিশ্রমের টাকায় কেনা একটি ল্যাপটপ আর মামার কাছে সামান্য কিছু টাকা ধার নিয়ে দোলন রংপুরের মুন্সীপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে শুরু করেন আউটসোর্সিংয়ের কাজ। তারপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার অফিসে ২০টি কম্পিউটারে ৩০ কর্মী পালাক্রমে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজে করছে। সপ্তাহের সাত দিন এবং বছরের ৩৬৫ দিন তাদের অফিসের কাজ চলে সেখানে।
রংপুরে আউটসোর্সিং কোম্পানি খুলে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন আর কর্মসংস্থানের স্বর্ণ দুয়ার খুলে দিয়েছেন রংপুরের আরেক যুবক আমিরুল ইসলাম রাজিব। দুই বছর আগে রংপুরের গুপ্তপাড়ায় স্থাপিত তার কোম্পানি রংপুর সফটে কাজ করে ৪০ কর্মী। এ ছাড়া রংপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় তার সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে তার কোম্পানির আরও ১০টি কেন্দ্র। সেখানে সব মিলে প্রায় ১৫০ কর্মী কাজ করেন, যারা প্রত্যেকেই প্রতি মাসে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। এদের মধ্যে কেউ ওয়েব ডেভেলপার, কেউ আবার সাধারণ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর।
রাজিব জানান, কেন্দ্রগুলো থেকে তিনি কোনো টাকা নেন না। কেন্দ্রগুলোয় যারা কাজ করেন, কেন্দ্র পরিচালনার খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকা তারাই নেন। তিনি কেন্দ্রগুলো গড়ে তুলেছেন শুধু রংপুরের বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, আউটসোর্সিংয়ে আগ্রহী ফ্রিল্যান্সারদের তিনি সপ্তাহে তিন দিন বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেন। তিনি জানান, দুই বছরে ২০০ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করেছেন। রংপুরে দুই হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করছেন। তিনি চারটি সাইটে কাজ করেন- ওডেক্স, ই-ল্যান্সার, ফ্রিল্যান্সার এবং গুরু ডটকমে। গত দুই বছরে তার কোম্পানি দেড় কোটি টাকার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে বলে তিনি জানান।
রাজিব অভিযোগ করেন, বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইট খুলে আউটসোর্সিংয়ের নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে দেশ-বিদেশের কয়েকটি চক্র। এদের কারণে আউটসোর্সিং সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে, যা এ খাতের অগ্রযাত্রায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
২০০৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করার পর ঢাকার ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে একটি আউটসোর্সিং কোম্পানিতে চাকরি নেন তিনি। সেখানে কিছু দিন কাজ করার পর নিজেই কোম্পানি দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে রংপুরে চলে আসেন। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মূলধন নিয়ে।
রাজিব জানান, কাজ শুরু করতে মাত্র ১ লাখ টাকা মূলধনের জন্য তিনি অনেক এনজিওতে ধরনা দিয়েছিলেন। অনেক সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে চেষ্টা করেও ঋণ পাননি। পরে কয়েকজন বন্ধুর সহায়তায় একটি পুরাতন ল্যাপটপ আর একটি ডেক্সটপ পিসি দিয়ে কাজ শুরু করেন। তার পরের ইতিহাস কষ্ট, পরিশ্রম আর সাফল্যের।
একই সাফল্যগাথা ওয়েব ডেভেলপার আমানুর রহমান সুমন ও গ্রাফিক ডিজাইনার বেলালের। রংপুরে প্রতিষ্ঠিত বেলালের প্রতিষ্ঠান ক্লিপিং বিডি ডটকমে কাজ করছেন ৪০ জন। কর্মচারীর বেতনসহ সব খরচ মেটানোর পরও প্রতি মাসে তার আয় থাকে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা। হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইলেট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে কোনো চাকরির চেষ্টা না করে রংপুরে বসে আউটসোর্সিং শুরু করেন আমানুর রহমান সুমন।
সুমন শুধু মোটা অঙ্কের টাকাই উপার্জন করছেন না; অসংখ্য বেকারের অর্থ উপার্জনের স্বর্ণ দুয়ার উন্মোচন করে চলেছেন তিনি। তিনি বলেন, সরকার চাইলে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ফ্রি আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে এবং দেশের বেকারত্ব দূর করতে বেশি দিন লাগবে না। এ জন্য তারা সরকারের সহযোগিতা চান।