রবিবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » রুয়েটে শব্দানুভূতি সম্পন্ন স্বয়ংক্রিয় রোবটের আবিষ্কার
রুয়েটে শব্দানুভূতি সম্পন্ন স্বয়ংক্রিয় রোবটের আবিষ্কার
।। খন্দকার মারছুছ, রুয়েট ।।
শুধু চোখে দেখবে রোবট। এটাই ছিল এতদিন রোবট সম্পর্কে ধারণা । কিন্তু এ ধারণা পরিবর্তণ নিয়ে আসল রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের দুই ক্ষুদে বিজ্ঞানী, রুয়েট রোবটিক সোসাইটির সদস্য সাদ্দাম ও আবুল মোনজের ।
ধরা যাক গভীর অন্ধকার । উৎস থেকে শুধু শব্দই ছাড়া কিছুই দৃশ্যমান হচ্ছে না। এমতাবস্থায়ও পথ চলতে হবে। একটাই উপায় শব্দানুভুতি। প্রানীর মধ্যে একমাত্র বাদুড়ের এ গুনটি রয়েছে। বাদুড় চেখে দেখে না । শব্দ থেকে পথ চলে। সেই বৈশিষ্টই পরিলক্ষিত হবে রোবটিতে। হ্যা, এ রোবটটি এমন যে, শুধু শব্দকে কেন্দ্র করেই তার অবস্থান, গতিবিধি ইত্যাদি পরিবর্তণ করতে পারবে।
প্রকল্পটি তৈরীর কাজে নিয়োজিত দলটি সাংবাদিকদের জানানঃ রোবটটিকে নিরাপত্তা ক্ষেত্র, উদ্ধার অভিযান থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রিতেও ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া রোবটটিতে রয়েছে শব্দ ফিল্টারিং বা বাছাই এর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে রোবটটি বিভিন্ন শব্দের মধ্যে পার্থক্য তৈরী করতে পারবে। কোন একটা নিরাপদ শব্দকে সে বিবেচনার বাহিরে রেখে, অনিরাপদ শব্দ পেলেই তার কার্যক্রম শুরু করবে।
প্রকল্প তৈরী কারক দলটি দাবি করেন, বহি:বির্শ্বে শব্দ নিয়ে কাজ হলেও বাংলাদেশে এই প্রথম। এ প্রকল্পটি তৈরী কারতে সময় লেগেছে প্রায় দেড় বছর। প্রাথমিকভাবে উৎপাদন ব্যয় একটু বেশি হলেও বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করলে এর ব্যয় ২০০০-৩০০০ টাকার মধ্যে রাখা সম্ভব বলে যানান।
শিক্ষকদের উদ্যোগে এ প্রকল্পটিকে নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। যেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের উপাচার্য এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক ও রুয়েট রোবটিক সোসাইটির সভাপতি ডঃ মোঃ রোকনুজ্জামান জানান “এ প্রকল্পটিকে যদি বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা যায় তবে সরকারী এবং বেসরকারী বিভিন্ন খাতে রোবটটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে।”
উপাচার্য ডঃ সিরাজুল করিম চৌধুরী বলেন “এটি আসলেই একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সামরিক খাত থেকে শুরু করে উদ্ধার অভিযান, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, বাংলাদেশের কল কারখানাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোবটটি উল্লেখযোগ্য ভ’মিকা রাখতে পারে।”