মঙ্গলবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » আজ বিসিএস কম্পিউটার সিটির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
আজ বিসিএস কম্পিউটার সিটির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রতিষ্ঠার ১৩ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে। ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কম্পিউটার সিটিতে সারা দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলবে। দেশের অন্যতম বৃহত্তম এ কম্পিউটার বাজারটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে কম্পিউটার ও প্রযুক্তিপ্রেমীদের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছে। দিনে দিনে জনপ্রিয়তা যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে এর সুযোগ-সুবিধা। জানালেন, বিসিএস কম্পিউটার সিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহমেদ হাসান।এ বিষয়ে আহমেদ হাসান ‘১৩ বছর আগে একটা স্বপ্ন নিয়ে বিসিএস সিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। এখন এটি দেশের তথ্যপ্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পুরো দেশের কম্পিউটার বা তথ্যপ্রযুক্তির গতি-অবস্থা ইত্যাদি এখান থেকেই বোঝা যায়।’বিসিএস সিটির বর্তমান সভাপতি মজিবুর রহমান জানান, ১৯৯৯ সালে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক এক মেলার মাধ্যমে বিসিএস সিটির পথ চলা শুরু হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এককভাবে সবচেয়ে বড় কম্পিউটার বাজার এটি। তিনি বলেন, ‘এক লাখ ২০ হাজার বর্গফুট আয়তনের এ মার্কেটে অত্যাধুনিক নিরাপত্তাব্যবস্থা ও অন্যান্য সুবিধায় একটি ইন্টিলিজেন্ট ভবনে ওয়ান স্টপ সেবায় ১৫৬টি দোকান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমরা আরও দু-একটি তলা এ মার্কেটে সংযোজনের চেষ্টা করছি।’ প্রায় শুরু থেকেই সিটিতে রয়েছে রিশিত কম্পিউটার্স। প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় পরিচালক তানভীর হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিসিএস সিটি ক্রেতাদের আগ্রহ ধরে রেখে নিজেদের মান উন্নয়ন করতে পেরেছে। এর কারণে প্রতিদিন এখানে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। এখানে বিশেষ কোনো সমস্যা নেই।’ প্রতিদিনই নানা বয়সী ক্রেতাদের ভিড় থাকে এ কম্পিউটার বাজারে। কথা হয়, কম্পিউটার কিনতে আসা শিক্ষার্থী তাহসিন বিন হাসানের সঙ্গে। এখানে আসার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এক ছাদের নিচে সব পাওয়া যায়। এটি এখানকার সবচেয়ে বড় সুবিধা। তুলনামূলক দামে কম ভালো মানের পণ্য পাওয়া যায়। এসব কারণেই এখান থেকেই প্রযুক্তিপণ্য কিনি।’ আজ বেলা ১১টা থেকে এ বাজারের মূল প্রবেশদ্বারে আসা ক্রেতাদের মিষ্টি দিয়ে বরণ করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হবে। বিকেলে সিটি উদ্যানে অতিথিদের নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা, ঈদ উৎসবের ফলাফল ড্রর পুরস্কার বিতরণ ও মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।