শনিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » সাইবার হামলা মোকাবেলার উদ্যোগ নিলো তাইওয়ান
সাইবার হামলা মোকাবেলার উদ্যোগ নিলো তাইওয়ান
বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলার শঙ্কা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবার এ ধরনের হামলা ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে তাইওয়ানের সরকার। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দেশটির সরকারি ও নিরাপত্তাবিষয়ক সাইটে চীনা হ্যাকারদের তত্পরতার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
তাইওয়ানভিত্তিক সংবাদপত্র ‘লিবার্টি টাইমসে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছর নাগাদ দেশটির সাইবার হামলা-সম্পর্কিত বিভাগকে আরও সম্প্রসারণ করা হবে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরো কর্তৃক ২০১৩ সালের বাজেটের সূত্র ধরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাজেটটি অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টে জমা দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যুরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বছরের জুন পর্যন্ত তাইওয়ানের বিভিন্ন সাইটে ১০ লাখ বারেরও বেশি সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। ‘লিবার্টি টাইমস’ আরও জানায়, বেশির ভাগ হামলাই শনাক্ত করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যুরোর সাইটে হামলার কোনো চেষ্টাই সফল হয়নি। এসব হামলার কতগুলো চীন থেকে করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে জানায়নি পত্রিকাটি। পার্লামেন্টে জমা দেয়া প্রতিবেদনে সাইবার হুমকির প্রধান উত্স হিসেবে চীনের কথা জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, চীন থেকে সাইবার হামলা চালানোর জন্য দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষ সরকারের সহায়তা নিচ্ছে। তারা ইন্টারনেট ভাইরাসের মাধ্যমে তাইওয়ানের সরকারি, সামরিক ও অর্থনীতি-সংক্রান্ত সাইটে হামলা চালাচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে বিরোধের সময় চীন কর্তৃক তাইওয়ানের বেশ কয়েকটি সরকারি সাইটে হামলার নমুনা পাওয়া গেছে। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকা কুয়োমিনটাং দল ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশ দুটির সম্পর্ক কিছুটা উন্নতি লাভ করে। দলটির প্রধান মা ইং জিয়ো এ বছরের জানুয়ারিতে পুনর্নির্বাচিত হন।
বিশ্লেষকদের মতে, চীন এখনো তাইওয়ানকে তাদের অংশ মনে করে। তাইওয়ান চীনের সঙ্গে একীভূত হবে, এমন চিন্তা-ভাবনাও করছে তারা। প্রয়োজন হলে শক্তি প্রয়োগও করবে চীন। এ জন্যই তারা তাইওয়ানে সাইবার হামলার মাধ্যমে কর্তৃত্ব করার চেষ্টা করছে।