শনিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » নতুন ট্যাবলেট আনল অ্যামাজন
নতুন ট্যাবলেট আনল অ্যামাজন
আইপ্যাডের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার অ্যামাজন বাজারে এনেছে নতুন ট্যাবলেট কিন্ডেল ফায়ার এইচডি। প্রতিষ্ঠানটির আগের ট্যাবলেটটির চেয়ে এটি আকারে বড় এবং দামেও সস্তা। খবর রয়টার্সের।নভেম্বরের ২০ তারিখ থেকে এটি বাজারে পাওয়া যাবে বলে অ্যামাজন জানিয়েছে। ট্যাবলেটটিতে রয়েছে ৮ দশমিক ৯ ইঞ্চি স্ক্রিন, ওয়াইফাই অথবা চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক, যা ৪জি নামে পরিচিত। এটির দাম ধরা হয়েছে ৫৯৯ ডলার। এর বিপরীতে অ্যাপলের সবচেয়ে দামি ট্যাবলেটের দাম ৮২৯ ডলার।ট্যাবলেটটিতে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে কিছু নতুনত্ব এনেছে অ্যামাজন। ‘স্পেশাল অফারস’ নামের ফিচারের মাধ্যমে নতুনভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার করবে অ্যামাজন। ব্যবহারকারী ট্যাবলেটটি লক করে রাখলে স্ক্রিনের ওপর বিজ্ঞাপন দেখাবে ট্যাবলেটটি। এ ফিচারের মাধ্যমে অ্যামাজনের আয় বাড়বে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা।নতুন ট্যাবলেটটি সম্পর্কে ফরেস্টারের গবেষক জেমস ম্যাকুইভেই বলেন, প্রথম কিন্ডেল ফায়ার ট্যাবলেটের তুলনায় এটি অনেক ভালো। অ্যামাজন তাদের পণ্যের মান ও দামে সমন্বয় করেছে, যা অ্যাপলসহ অন্যান্য ট্যাবলেট নির্মাতাদেরও দাম নিয়ে সমস্যায় ফেলে দেবে।নতুন কিন্ডেল ফায়ারের রেজুলেশন ১৯২০দ্ধ১২০০। এর মাধ্যমে অ্যাপলের রেটিনা ডিসপ্লেকেও চ্যালেঞ্জ জানাল অ্যামাজন। ৮ দশমিক ৯ ইঞ্চির ডিসপ্লের ট্যাবলেটটি আইপ্যাডের চেয়ে একটু ছোট। নতুন ট্যাবলেট বাজারে ছাড়ায় এখন থেকে অ্যামাজনের ট্যাবলেট ১৫৯-৫৯৯ ডলারের মধ্যে পাওয়া যাবে। আইপ্যাডের পর যুক্তরাষ্ট্রে কিন্ডেল ফায়ারের অবস্থান দ্বিতীয়।অ্যামাজনের নতুন ট্যাবলেটটি অ্যাপলের আইপ্যাডকে আক্ষরিক অর্থেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবে বলে মনে করেন ক্যারিস অ্যান্ড কোম্পানির বিশ্লেষক স্কট টিলগহ্যাম। তিনি বলেন, অ্যামাজন চাইলে তাদের তৈরিকৃত দামের চেয়ে একটু বেশি দামেই ট্যাবলেট বিক্রি করতে পারে। কিন্তু অ্যাপল এর পণ্যে ৪০-৫০ শতাংশ মুনাফা করে। নতুন কিন্ডেল ফায়ার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দুই দিকেই অ্যাপলের সমপর্যায়ের। অ্যাপলের জন্য বিষয়টি আসলেই উত্কণ্ঠার।অ্যামাজন ট্যাবলেটের বাজারে অ্যাপল ও গুগল অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, কিন্ডেল ফায়ারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে আইপ্যাড মিনি বাজারে আনতে পারে অ্যাপল।কিন্ডেল ফায়ারের উদ্বোধন উপলক্ষে অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস বলেন, অ্যামাজন বিক্রির সময় নয়, যখন ক্রেতারা পণ্য ব্যবহার করবে তখন অর্থ আয় করতে চায়।ট্যাবলেটটির সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেয়ার সময় বেজোস অ্যাপলের নাম উল্লেখ না করলেও কয়েকবার তিনি ট্যাবলেটটিকে আইপ্যাডের সঙ্গে তুলনা করেন।সান্তা মনিকার এ অনুষ্ঠানে বড় স্ক্রিনে অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ার এইচডি ৩২ জিবির ট্যাবলেটের সঙ্গে আইপ্যাড ৩ এর বিভিন্ন তুলনা করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দাম, তথ্য পরিকল্পনা ইত্যাদি।নতুন এ কিন্ডেল ফায়ারে থাকছে সামনের দিকে ক্যামেরা, স্কাইপের অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা থাকবে এবং ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে ভিডিও চ্যাট করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানটি ট্যাবলেটের জন্য বেশ কিছু সেবা নিয়ে এসেছে। যেমন এক্স-রে ও কিন্ডল ফ্রিটাইম।ফ্রি টাইম পুরোপুরি একটি নতুন সেবা, যার মাধ্যমে অভিভাবক ট্যাবলেট ব্যবহারে তাদের সন্তানকে সময় নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। যেমন গেমসের জন্য ৩০ মিনিট নির্ধারণ করে দেয়া যেতে পারে। এ ছাড়া অ্যামাজনের এ ট্যাবলেটে থাকবে ‘পেপার হোয়াইট’ সেবা ও দীর্ঘায়ু ব্যাটারি, যার মাধ্যমে পাঠক খুবই পরিষ্কার স্ক্রিনে অনেকক্ষণ ইন্টারনেট থেকে পাঠ করতে পারবে।থ্রিজির ওয়ারলেস ভার্সনের ১৭৯ ডলারের ট্যাবলেটটি আগামী অক্টোবরে বিক্রি শুরু হবে।অ্যাপলের আইপ্যাডের তুলনায় কম দামে বড় পর্দার ট্যাবলেটটির বিক্রি ও বাজার দখল ট্যাবলেটের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা। অ্যামাজন ৭ ইঞ্চির ট্যাবলেট কিন্ডেল ফায়ার ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বাজারে নিয়ে আসে। বর্তমানে ট্যাবলেটটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিপুল জনপ্রিয়।