সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, জানুয়ারী ২৩, ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
শনিবার ● ১ সেপ্টেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » খোলা কলম » অফিসে নজরদারির মধ্যে কি আপনি?
প্রথম পাতা » খোলা কলম » অফিসে নজরদারির মধ্যে কি আপনি?
৮২২ বার পঠিত
শনিবার ● ১ সেপ্টেম্বর ২০১২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অফিসে নজরদারির মধ্যে কি আপনি?

।। সানাউল সমু ।।
যুক্তরাষ্ট্রে অর্ধেকেরও বেশি কার্যালয়ে কর্মীদের কম্পিউটারে নজর রাখা হয়। প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে এখন মোটামুটি সব দেশেই এটি চলছে। আপনার কম্পিউটারে নজর রাখা হচ্ছে কি না, তা কীভাবে বুঝবেন? তাছাড়া এ ব্যবস্থা এড়াতেই বা কী করতে পারেন আপনি…

অফিসের কর্তারা দুইভাবে কর্মীদের কম্পিউটার ব্যবহারের ওপর নজর রাখতে পারেন। প্রতিটি কম্পিউটারে সফটওয়্যার ইনস্টল করে অথবা করপোরেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। বেশির ভাগ অফিসের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা নীতিতে উল্লেখ করা থাকে, তারা আপনার ইন্টারনেট ও কম্পিউটার ব্যবহারে নজরদারি করবে কি না। সফটওয়্যারে নজরদারি সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অথবা তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তারা জানতে পারেন আপনি কোন কোন ওয়েবসাইটে যাচ্ছেন। এ জন্য তারা প্রতিটি কম্পিউটারে সফটওয়্যার ইনস্টল করে রাখেন। কম্পিউটারে আপনার করা প্রতিটি কাজই যে তারা দেখতে পারছেন, তা আপনি ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেন না।
আপনি যদি উইন্ডোজচালিত পিসি ব্যবহার করেন তাহলে স্টার্ট বাটন থেকে এটি সহজে খুঁজে বের করতে পারবেন। সেখানে গিয়ে VNC, LogMeIn, GoToMyPC, Shadow,SpyAgent,Web Sleuth, Silent Watch এগুলো আলাদাভাবে লিখে সার্চ দিতে হবে। এ ধরনের কোনো সফটওয়্যার থাকলে বোঝা যাবে আপনার সফটওয়্যারে নজরদারি করা হচ্ছে।
অবশ্য অনেক আইটি কর্মকর্তা স্টার্ট বাটনে এসব সফটওয়্যার যাতে না দেখা যায় সে জন্য এগুলো লুকিয়ে রাখেন। এ ক্ষেত্রে স্টার্ট বাটনে গিয়ে ‘windows firewall’ লিখতে হবে। এরপর সেখানে গিয়ে ‘Advanced’ বাটনে দেখতে হবে, এ ধরনের কোনো সফটওয়্যার আছে কি না। তাহলে বোঝা যাবে, আপনার পিসিতে নজর রাখা হচ্ছে। নেটওয়ার্কে নজরদারি
নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও নজরদারি করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটারে কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হয় না। আপনার অফিসের নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ওই নেটওয়ার্ক দিয়েও খুব সহজে বোঝা যায়, কে কোন ওয়েবসাইটে যাচ্ছে বা কি করছে। বেশির ভাগ অফিসেই কর্মীদের পিসি ব্যবহারের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট থাকে। ওই অ্যাকাউন্ট নাম্বার ব্যবহার করে আইটি কর্মকর্তারা জানতে পারেন কে কোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করছে।
করণীয়
এ ধরনের কোনো কিছু খুঁজে পেলে সফটওয়্যার ভুলেও মুছে ফেলা উচিত হবে না। শত হলেও কম্পিউটার আপনার নিজের নয়, অফিসের। তাদের কম্পিউটারে তারা যেকোনো কিছুই ইনস্টল করতে পারেন। তাই এ ক্ষেত্রে অফিস থেকে অন্য কিছু না করাই ভালো। এর পরও যদি কিছু করার প্রয়োজন মনে হয়, তাহলে অফিসের ই-মেইল আইডি ব্যবহার না করে ইয়াহু বা জিমেইলের ই-মেইল ব্যবহার করাই ভালো। এ সাইটগুলোর মেইল ব্যবহার করা হলে তা থেকে কী পাঠানো হয়েছে, তা শত চেষ্টা করা হলেও বের করা সম্ভব নয়। সবচেয়ে ভালো হয় নিজের ফোন, ট্যাবলেট অথবা স্মার্টফোনের মাধ্যমে অফিসে ইন্টারনেট ব্যবহার করা। এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ধরা পড়ার সম্ভাবনা নেই। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, নিজের অফিসের কম্পিউটারের আইডি অন্য কাউকে না দেয়া। এটি দিলে অন্য কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও সমস্যায় পড়তে হবে আপনাকে। -SBB



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
বাংলাদেশে আইস ওয়ার্পের সুরক্ষিত ইমেইল সেবা দিচ্ছে স্মার্ট টেকনোলজিস
ওয়াদা’র সাথে অনার এর অংশীদারিত্ব
বাক্কো সদস্যদের জন্য ‘গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম ফর সার্ভিসেস’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে করনীয়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
২৬তম অন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১০টি পদক পেল বাংলাদেশ
এশিয়ান সুডোকু চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের অংশগ্রহন
ঢাকায় ‘আমি কি এআই কে বিশ্বাস করতে পারি?’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সনদ পেল হুয়াওয়ের ডেটা স্টোরেজ সিস্টেম
বাংলাদেশের বাজারে লেনোভো ইয়োগা ২ ইন ১ ল্যাপটপ
বিশ্বের শীর্ষ ১০ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের তালিকায় টেকনো