সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
সোমবার ● ২৮ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের অংশগ্রহণে ঢাকায় তিনদিনব্যাপী কর্মশালা শুরু
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের অংশগ্রহণে ঢাকায় তিনদিনব্যাপী কর্মশালা শুরু
২৭ বার পঠিত
সোমবার ● ২৮ এপ্রিল ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের অংশগ্রহণে ঢাকায় তিনদিনব্যাপী কর্মশালা শুরু

---বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর আয়োজনে দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের (সাউথ এশিয়ান টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরস কাউন্সিল) অংশগ্রহণে ঢাকায় শুরু হয়েছে পলিসি, রেগুলেশন ও সেবা সংক্রান্ত তিনদিনব্যাপী কর্মশালা। ২৮-৩০ এপ্রিল রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত কর্মশালায় আয়োজক বাংলাদেশ সহ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ এবং ইরান এর টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক রেগুলেটরি সংস্থার প্রতিনিধিগণ, টেলিকম অপারেটর, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের প্রায় ২০০ (দুইশত) প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছেন। এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি (এপিটি) এর সহযোগী সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে অংশগ্রহণ করেছে চায়নার হুওয়ায়ে টেকনোলজিস, অ্যামাজন ইন্ডিয়া, সিংগাপুরের ইন্টারনেট সোসাইটি এশিয়া লিমিটেড এবং বেলজিয়ামের কুলেন ইন্টারন্যাশনাল।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ এমদাদ উল বারী (অব.) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি’র মহাসচিব মাসানরি কুন্ড এবং পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটির সদস্য ও এসএটিআরসি ওয়ার্কশপ অন পলিসি, রেগুলেশন এন্ড সার্ভিসেস এর সভাপতি ড. খাওয়ার সিদ্দিক খোকার উপস্থিত ছিলেন।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ সময় বলেন, প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশই প্রায় একই ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। টেলিকম শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের জন্য আমাদের মানসম্মত গ্রাহক সেবা ও ডিজিটাল সার্ভিস নিশ্চিতে কাজ করতে হবে, এক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রেগুলেটরি চ্যলেঞ্জ বেশি। তিনি বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরে সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করতে নানা চ্যালেঞ্জে রয়েছে। এসব বিষয় চিহ্নত করে আমাদের সুযোগগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য সবাই মিলে একটি উত্তম নীতি প্রণয়নের বিকল্প নেই ।

এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটির মহাসচিব মাসানরি কুন্ডু বলেন, কর্মশালার উদ্দেশ্য হল সদস্যদেশসমূহের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগ করে নেওয়া। এর মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের মধ্যে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং সম্ভাব্য অগ্রগতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত উঠে আসবে, যা সদস্য দেশসমূহের রেগুলেটরি ও পলিসি প্রণয়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।

পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটির সদস্য ও এসএটিআরসি ওয়ার্কশপ অন পলিসি, রেগুলেশন এন্ড সার্ভিসেস এর সভাপতি ড. খাওয়ার সিদ্দিক খোকার বলেন, টেলিযোগাযোগ পরিষেবাগুলো সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কর্মশালায় সকল অংশগ্রহণকারীদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় আমাদের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ খাতকে অনকেদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ এমদাদ উল বারী (অব.) বলেন, এই অঞ্চলের দেশসমূহ ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নত করা ও ভোক্তা সুরক্ষা জোরদারের পাশাপাশি ফাইভজি, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস এর মত প্রযুক্তি গ্রহণ করছে। এসব পদক্ষেপগুলো বিচ্ছিন্নভাবে না নিয়ে একটি পারস্পরিক আঞ্চলিক সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করা হলে তা জাতীয় অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে। তিনি বলেন, প্রতিবেশি অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও মোবাইল কাভারেজ সম্প্রসারণ, পরিষেবা ডিজিটালাইজেশন এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই কর্মশালায় একে অপরের চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্য থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় ভবিষ্যতে একসাথে গতিপথ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিন দিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিনের বিভিন্ন সেশনে ভবিষ্যত উদীয়মান প্রযুক্তির যুগে ফিক্সড এবং মোবাইল ব্রডব্যান্ডের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য ইউনিভার্সেল সার্ভিস রেগুলেশন তহবিলের যথাযথ ব্যবহার, সুপারিশ, কৌশল ও প্রভাব এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য আইসিটি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।

দ্বিতীয় দিনে ডিজিটাল গ্রাহকদের সুরক্ষা: অনলাইন স্ক্যাম এবং আর্থিক জালিয়াতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা; ভবিষ্যতের ট্যারিফ নীতিমালা গঠন: দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে কানভার্জেন্স এবং উদীয়মান টেলিযোগাযোগ/আইসিটি পরিষেবার প্রভাব বিশ্লেষণ; স্মার্ট সিটি এবং সোসাইটি: আইওটি, বিগ ডেটা এবং অনুরূপ প্রযুক্তি স্থাপনে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোতে অভিজ্ঞতা এবং কেস স্টাডিজ বিষয়ে বিভিন্ন সেশনে বিশেষজ্ঞগণ মতামত প্রদান করবেন। তৃতীয় দিনে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নেট নিরপেক্ষতা: চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং নীতি নির্দেশনা; দক্ষিণ এশীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের আওতায় থাকা দেশগুলোতে ডিজিটাল রূপান্তর বিষয়ে আলোচনা হবে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের অংশগ্রহণে ঢাকায় তিনদিনব্যাপী কর্মশালা শুরু
আইসিটি খাতের দুর্নীতি তদন্ত এবং শ্বেতপত্র প্রণয়নে টাস্কফোর্স গঠন
গ্রামীণফোনের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
দ্বিতীয়বারের মতো গুগলের ‘ইনডিপেন্ডেন্ট সিকিউরিটি রিভিউ’ ব্যাজ পেলো ইমো
বাংলাদেশে ৪টি এআইওটি ব্র্যান্ড নিয়ে এলো আকিজ টেলিকম
চলছে অনার এক্স৮সি ফোনের প্রি-বুকিং
জাপান আইটি উইকে অংশ নিচ্ছে বেসিসের ৬ সদস্য প্রতিষ্ঠান
চলছে হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ’ এর নিবন্ধন
ইস্পোর্টস ও গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন মাত্রা নিয়ে আসছে পাবজি মোবাইল
নতুন ওয়ালেট ফিচার চালু করেছে ট্যাপট্যাপ সেন্ড