বৃহস্পতিবার ● ২ আগস্ট ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » টুইটারে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বারাক ওবামা
টুইটারে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বারাক ওবামা
বিশ্বের মানুষের কাছে তো বটেই টুইটারেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। টুইটারে তার অনুসারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি। টুইটারে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে তার অ্যাকাউন্টই সবচেয়ে বেশি দেখা হয়। জনসংযোগকারী ফার্ম বারসন-মার্সটেলারের করা এক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ‘টুইপলোমেসি’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনটি গত ২৬ জুলাই প্রকাশ করা হয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর মধ্যে টুইটার দারুণ জনপ্রিয়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি টুইটারে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানরা। বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের ২৬৪ অ্যাকাউন্টে জরিপ চালায় বারসন-মার্সটেলার।
বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে প্রথম, যার টুইটারে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বিশ্বনেতাদের মধ্যে করা সবচেয়ে জনপ্রিয় টুইটটির মালিকও ওবামা। ওবামার করা ওই টুইটটি হলো- ‘সমকামী জুটিদের বিয়ে করতে দেয়া উচিত।’
অন্যদিকে সব টুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় বারাক ওবামার অবস্থান পঞ্চম। তার আগে রয়েছেন মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি স্পিয়ার্স।
তবে ওবামার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটের মাত্র এক শতাংশের জবাব দেয়া হয়। এ জন্য তিনি টুইটারে অনুসরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার র্যাংকিংয়ে বিশ্বনেতাদের মধ্যে বেশ নিচে অবস্থান করছেন।
গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, টুইটের জবাব পেতে হলে উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী আমামামবাবাজি অথবা রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামিকে অনুসরণ করা যায়। এ দুই নেতা টুইটের ৯০ শতাংশেরই জবাব দেন।
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বনেতাদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ। টুইটারে তার নাম শ্যাভেজ চান্দানগা। তিনি ৩৮ শতাংশ জবাব দেন।
ওবামা টুইটারে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জেন স্টোলটেনবার্গ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদাভেদকে অনুসরণ করে।
বারসন-মার্সটেলায় গবেষণায় অনুযায়ী বিশ্বের ৯৯ জন সরকারপ্রধান ও নেতা কখনো টুইটের কোনো জবাব দেন না।