
মঙ্গলবার ● ৩১ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » ব্লু-হ্যাট প্রতিযোগিতায় হ্যাকারদের পুরস্কৃত করল মাইক্রোসফট
ব্লু-হ্যাট প্রতিযোগিতায় হ্যাকারদের পুরস্কৃত করল মাইক্রোসফট
সম্প্রতি আয়োজিত ব্লু হ্যাট সিকিউরিটি নামে এক প্রতিযোগিতায় ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার পুরস্কার দিয়েছে মাইক্রোসফট। এতে প্রথম হয়ে ২ লাখ ডলার পুরস্কার পান কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত শিক্ষার্থী ভেসিলিস পাপাস। খবর বিজনেজ ইনসাইডারের।
ওয়াশিংটনের একটি হোটেলে এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়। মাইক্রোসফটের তৈরি করা সফটওয়্যারগুলোকে কীভাবে সাইবার হামলা থেকে বাঁচানো যায়, এ লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। এ বিষয়ে মাইক্রোসফটের এক পরিচালক মাইক রেভি বলেন, হ্যাকিং প্রতিরোধব্যবস্থা সম্পর্কে সবাইকে জানাতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
এতে দ্বিতীয় হন ক্রোয়েশিয়ার জাগরেব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইভান ফ্রাটরিক। তাকে দেয়া হয় ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার। এ ছাড়া হ্যারিস করপোরেশনের গবেষক নিরাপত্তা গবেষক জারেড ডিমোট তৃতীয় হয়ে পান ১০ হাজার ডলার।
রিভে বলেন, ‘আমরা গবেষকদের উদ্দেশে একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলাম এবং নিজ দায়িত্বে নতুন কিছু তৈরি করতে বলেছিলাম, যা দ্বারা হ্যাকারদের চিহ্নিত করা যায়।’
মোট ২০ জন এ ব্লু-হ্যাট প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। রিটার্ন ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য প্রথম পুরস্কারটি পান পাপাস। এর মাধ্যমে একজন হ্যাকার আরেকটি কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য পাপাস ‘কেবাউন্সার’ নামে একটি সমাধান নিয়ে প্রতিযোগিতায় হাজির হন।
মাইক্রোসফট কম্পিউটারের জেনারেল ম্যানেজার ম্যাট থমলিনসনের তথ্যে জানা যায়, সফটওয়্যারের নিরাপত্তার জন্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সফটওয়্যার টুলকিট করে। তিনি আরও জানান, এ ব্লু-হ্যাট প্রতিযোগিতাটি ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষামূলক কাজ করবে।
ইদানীং নিরাপত্তা গবেষকদের ‘পুরস্কৃত’ করা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিছু দিন ধরেই ওয়েবসাইটে হ্যাকিংয়ের কারণে বড় কোম্পানিগুলো ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস হারাচ্ছিল। এ অবস্থায় ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে কম্পিউটারের নিরাপত্তা বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। সম্প্রতি একদল হ্যাকার ইয়াহু ও লিংকডইনের ব্যবহারকারীদের তথ্য হ্যাক করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিয়েছিল। এরপর থেকে বিষয়টি আরও আলোচনায় আসে।