রবিবার ● ২৯ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » অনলাইনে অলিম্পিক ২০১২
অনলাইনে অলিম্পিক ২০১২
অসংখ্য ইভেন্টে ঠাসা ক্রীড়া আয়োজন লন্ডন অলিম্পিক ২০১২। একজন দর্শকের পক্ষে সব আয়োজন উপভোগ করা অসম্ভব। কেউ আহার-নিদ্রা ভুলে সব আয়োজন উপভোগ করতে গেলেও সময় লাগবে পাঁচ মাস। ১৭ দিনের সব প্রতিযোগিতার মেয়াদ হবে সাড়ে ৩ হাজার ঘণ্টা। টেলিভিশনের পাশাপাশি বেশকিছু মাধ্যমে উপভোগ করা যাবে প্রতিযোগিতাটি। খবর সিএনএনের।
দর্শকদের অলিম্পিক উপভোগের বিষয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে যুুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হ্যারিস ইন্টারঅ্যাকটিভ। ৪০ শতাংশ দর্শক লন্ডন অলিম্পিক উপভোগের জন্য একাধিক মাধ্যমের শরণাপন্ন হবে বলে জানিয়েছে। ৩৫ শতাংশ তাদের ট্যাবলেট কম্পিউটার ও ২৭ শতাংশ ব্যবহার করবে স্মার্টফোন।
লাইভ স্ট্রিমিং: অলিম্পিকের ইভেন্টগুলো ইন্টারনেট সরাসরি লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে দেখা যাবে। আধুনিক প্রযুক্তির ট্যাবলেট ও স্মার্টফোনে উপভোগ করা যাবে অলিম্পিক। বার্তা সংস্থা এনবিসিও টেলিভিশনের মাধ্যমে নিয়মিত সম্প্রচারের পাশাপাশি অনলাইন লাইভ স্ট্রিমিং সুবিধা দিচ্ছে। যারা তাদের টিভির ক্যাবল সংযোগ বাদ দিয়েছেন। কিংবা যারা পুরোপুরি অনলাইন টিভির ওপর নির্ভরশীল, তারা অনলাইন ভিডিও দেখার সাইট হুলু কিংবা নেটফ্লিক্সের সহায়তা নিতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এনবিসির আশা, ব্যবহারকারীরা টিভি ছাড়াও অনলাইনে অলিম্পিক দেখতে উত্সাহী হবেন। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ক্যাবল টিভি সার্ভিস কমক্যাস্টের অধীন। অলিম্পিক প্রচারের স্বত্ব পেতে এনবিসি ১১৮ কোটি ডলার
বিনিয়োগ করেছে।
অনলাইন ভিডিও: অনলাইন ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে দেখা যাবে অলিম্পিকের নানা আয়োজন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ইউটিউবে ১১টি হাইডেফিনেশন চ্যানেল চালু করেছে। এশিয়া ও আফ্রিকার ৬৪টি অঞ্চল, যেখানে ক্যাবল টিভি সুবিধা নেই, সেখানকার লোকরা ইন্টারনেটের কল্যাণে এগুলো উপভোগ করতে পারবে। তবে অন্যান্য অঞ্চল থেকে এগুলো দেখা যাবে না। বার্তা সংস্থা বিবিসির সাইটেও পাওয়া যাবে অনেক ভিডিও।
মোবাইল অ্যাপ: অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ দুটি আনুষ্ঠানিক অ্যাপ উন্মোচন করেছে। এটি আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড, ব্ল্যাকবেরি ও উইন্ডোজ ফোন ৭সহ অনেক প্লাটফর্মে চলার উপযোগী। এর মাধ্যমে খেলার ফল, সময়সূচি ও অন্যান্য তথ্য জানা যাবে। ‘জয়েন ইন’ নামে আরও একটি অ্যাপ চালু করেছে আইওসি। অ্যাপটি চালু করা হয়েছে যারা বিভিন্নভাবে অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছে, তাদের জন্য। এর মাধ্যমে তারা লন্ডনে অলিম্পিক-সংক্রান্ত সব তথ্যের খোঁজ রাখতে পারবে। এনবিসির পক্ষ থেকে অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ অ্যাপ। এর মাধ্যমে সরাসরি উপভোগ করা না গেলেও রেকর্ড করা ভিডিও ফুটেজ, হাইলাইট, স্কোর সাক্ষাত্কারসহ অনেক কিছু্ুই উপভোগ করা যাবে।
সামাজিক যোগাযোগ ও বার্তা সংস্থা: এবারের অলিম্পিক শুরুর আগে থেকেই সবচেয়ে বেশি আলাচিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সব খেলার খুঁটিনাটি না জানলেও চূড়ান্ত ফলের তথ্য নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে অনেকে। এ জন্য সামাজিক যোগাযোগ টুইটারে বিশেষ নিউজ ফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সহজেই পদক জয়ের তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। ব্যবহারকারী তার সুবিধামতো এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। লন্ডন অলিম্পিকের আনুষ্ঠানিক টুইটার পেজের ঠিকানা: London 2012, ফেসবুকেও রয়েছে অলিম্পিকের পেজ। এ ছাড়া অন্যান্য ব্যবহারকারী ও ক্রীড়াবিদের অ্যাকাউন্ট থেকেও জানা যাবে নানা তথ্য।
টেলিভিশন: অলিম্পিকের খোঁজখবর প্রচারের সবচেয়ে পুরনো মাধ্যম টেলিভিশন। বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে অলিম্পিকের খুঁটিনাটি অনেক তথ্যই প্রচার করা হয় টেলিভিশনে। সবচেয়ে সাশ্রয়ী মাধ্যমও এটি।