রবিবার ● ২৯ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » পর্নোগ্রাফি রোধে ইরানকে সাহায্য করবে ফেসবুক
পর্নোগ্রাফি রোধে ইরানকে সাহায্য করবে ফেসবুক
অশ্লীল ছবি ও ভিডিও রয়েছে এমন পেজ ও গ্রুপ মুছে ফেলার জন্য সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকের সঙ্গে ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করার আশা করছেন। খবর সি-নেটের।
ইরানের সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ থেকে প্রথমে এ খবর নিশ্চিত করা হয়। পরে সিবিএস নিউজও বিষয়টি নিশ্চিত করে। ইরানের সাইবার পুলিশপ্রধান কামাল হাদিয়ানফার এক সাক্ষাত্কারে আইএসএনএকে এ কথা বলেন। ফেসবুকের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও এ পরিকল্পনার মধ্যে আসলে কোন কোন বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত, তা অবশ্য হাদিয়ানফারের কাছ থেকে জানা যায়নি। সাক্ষাত্কারটি পরে রেডিওজামানেহ থেকে
অনূদিত হয়।
তার বক্তব্য অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি ইরান ছাড়াও অন্যান্য দেশে (এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও আছে) অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। ২০১০ সালে ফেসবুক অপরাধীদের জন্য ফ্রি ডোমেইন হিসেবে কাজ করেছে। ১৫ মাস ধরে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারীদের উপস্থিতিতে তাদের হাত থেকে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট বিশেষ করে ফেসবুকের অনেকাংশ মুক্ত করা গেছে।
ফেসবুক থেকেও অশ্লীল ছবি বা ভিডিও অনুমোদিত নয়। ওয়েবসাইটটির টার্মস অব সার্ভিসের সেফটি সেকশনের অধীনে সাত নম্বর পয়েন্টের বক্তব্য অনুযায়ী, কোনো ঘৃণাসূচক বক্তব্য, হুমকিমূলক ও অশ্লীল কন্টেন্ট (ছবি বা ভিডিও) পোস্ট করা যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ও ইরান সরকারের দৃষ্টিতে পর্নোগ্রাফির সংজ্ঞা এক নয়। ফেসবুকে যদি কখনো পর্নোগ্রাফির অনুমোদন দেয়া হয়, তাহলে ইরান সেন্সরশিপের আগেই ওয়েবসাইটে ঢোকা একেবারে বন্ধ করে দেবে।
ফেসবুক নিয়ে এখন ইরানিরা যে অবস্থান নিয়েছে, তা আগের অবস্থান থেকে কিছুটা ভিন্ন। সরকারবিরোধীরা ফেসবুক ব্যবহার করায় ইরানে অনেক দিন ওয়েবসাইটটি নিষিদ্ধ ছিল। ২০০৯ সালের নির্বাচনে সরকারবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে- এ আশঙ্কায় ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তবে পর্নোগ্রাফির বিষয়ে দেশটির সরকার এখনো কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ বছরের শুরুর দিকে পর্নোগ্রাফি সমর্থক সফটওয়্যার ডেভেলপিংয়ের জন্য ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক সাইদ মালেকপুরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ইরানের মতে, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির কার্যকলাপের ফলে ইসলামের চরম অবমাননা হয়েছে।