বুধবার ● ১ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ নিয়ে ভয়েস এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ নিয়ে ভয়েস এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সম্প্রতি অনুমোদিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ নিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর অনলাইনে (ওয়েবিনার) “সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বেসিরকারি গবেষনা সংস্থা ভয়েস।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ সুশীল সমাজ ও অংশীদারদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি নাগরিকের স্বাধীনতা ও ডিজিটাল জগতে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।
আলোচনায় মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী ও ডিজিটাল অধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এবং ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয় অনুষদের সাইমুম রেজা তালুকদার ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন।
ওয়েবিনারে বক্তারা সাইবার বুলিং সংক্রান্ত ধারা এবং ঘৃণাসূচক বক্তব্যে, সাংবাদিকদের জন্য ঝুঁকি, আত্মরক্ষা এবং ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা করেন।
অধ্যাদেশে ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ এবং ভারসাম্যের নিশ্চয়তা দেয়া হলেও এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিকতার স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া ওয়েবিনারে প্রমাণ ছাড়া তল্লাশি, গ্রেপ্তার ও নজরদারির বিধান নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, একজন ব্যক্তি যখন বিনা বিচারে আটক থাকেন সেটি তাঁর মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন। এই নতুন আইন পুরনো সেই সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি।
সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ক গবেষক এবং মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেনিন বলেন, ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশটির বহুবিধ ত্রুটি রয়েছে যেমন অনৈতিক গ্রেপ্তার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হ্রাস এবং তথ্যের নিরাপত্তার অভাব। সরকারকে এটি সংস্কারের জন্য একটি দল গঠন করতে হবে, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার অগ্রাধিকার পাবে।
ভয়েস-এর নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ অনুষ্ঠানে বলেন, আইন মানুষের পক্ষে হওয়া উচিৎ এবং আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া সাংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থার ক্ষমতা কমিয়ে জনস্বার্থে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।