সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, জানুয়ারী ৪, ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
মঙ্গলবার ● ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মানুষকে বোকা বানানোর অপচেষ্টা: টিআইবি
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মানুষকে বোকা বানানোর অপচেষ্টা: টিআইবি
৬১ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মানুষকে বোকা বানানোর অপচেষ্টা: টিআইবি

---অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সম্প্রতি অনুমোদিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এ সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ‘প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।


সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ সম্পর্কে পর্যালোচনা ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম। তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর মতো কালো আইন বাতিল করে এ-বিষয়ক অধ্যাদেশ প্রণয়ন এবং এর জন্য বর্তমান সরকার গত কয়েক মাসে কয়েকটি খসড়া প্রকাশ করে, সেখানে জনসাধারণকে মতামত দেওয়ার জন্য যে সুযোগ করে দিয়েছে, সেই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’


তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র মারফত আমরা জেনেছি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য আলোচ্য অধ্যাদেশের যে খসড়া প্রচার করা হয়েছিল, তার বাইরে অনুমোদন পাওয়া অধ্যাদেশে এমন নতুন অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আইন প্রণয়নের সাধারণ চর্চার পরিপন্থী। ব্যাপারটিকে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’


এরশাদুল করিম আরও বলেন, ‘অধ্যাদেশের সাধারণ পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আমরা মনে করি, এই অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা, সাইবার অপরাধ, সাইবার সুরক্ষা এবং মানুষের মত প্রকাশের অধিকার সম্পর্কিত বিধানগুলো একত্র করে ফেলেছে এবং অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কেবল কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে “জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি” গঠন প্রস্তাব করে ভবিষ্যতে এর প্রকৃত ও যথাযথ প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে।’


সরকারি তথ্য, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক তথ্য ও জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো ঠিক করা না হলে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি কোনোভাবেই সম্পূর্ণ হবে না উল্লেখ করে এরশাদুল করিম বলেন, ‘এ কারণে আমরা মনে করি যে, এই অধ্যাদেশকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।’


সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারার অসংগতি তুলে ধরা হয়। ধারা-৪৬ সম্পর্কে বলা হয়, এই ধারার অধীনে ধারা ১৯-কে আমলযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, ধারা ১৯ (১)-এর দফা (ঙ) ও (চ) পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই বিধান গুলোতে অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিরক্তিকর হতে পারে, কিন্তু এগুলো সাধারণত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা সাইবার জগতের ভৌত অবকাঠামোর ক্ষতি সাধন করে না বলে, এগুলোকে ভিন্ন অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এগুলোও অ-আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য করা যুক্তিযুক্ত।


ধারা ৪৭ সম্পর্কে বলা হয়, তাত্ত্বিকভাবে সাইবার জগৎ বলতে আমরা সাধারণত একটি কাল্পনিক জগৎকে বুঝে থাকি, সে কারণে এই ধারায় ব্যবহৃত ‘সাইবার উপকরণ’ বলতে যে বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে, তা না বলে শুধু ‘উপকরণ’ বলা যেতে পারে এবং তা বলা হলে এই ধারার মূল বক্তব্যে কোনো হেরফের হয় না।


সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিল করে এর পরিবর্তে নতুন একটি অধ্যাদেশ করার উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটা আমরা সমর্থন করি না।


সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে আমাদের আপত্তি আছে। এ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা এমনটা আশা করি না। এ ধরনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইন কমিশনকে কেন এখানে সম্পৃক্ত করা হলো না?’


অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা একটা জগাখিচুড়ি আইন হয়েছে, যার ফলে সাইবার সুরক্ষার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাই। অধিকারভিত্তিক কিছু আমরা এই অধ্যাদেশে দেখতে পাই না। বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এটা জনস্বার্থের প্রতিফলন করবে না, বরং বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে বলে আমরা মনে করি।’


সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
মাস্টারকার্ডের ‘উইন্টার স্পেন্ড অ্যান্ড উইন ক্যাম্পেইন ২০২৫’ শুরু
২০২৫ সালের সাইবার হামলার ঝুঁকি ও সাপ্লাই চেইন হুমকি বিশ্লেষণ করেছে ক্যাসপারস্কি
নতুন বছরে ইনফিনিক্স হট ৫০ স্মার্টফোনে ছাড়
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ নিয়ে ভয়েস এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভিভো এক্স২০০ এ চলছে প্রি-অর্ডার, থাকছে অফার
উইকিপিডিয়া কীভাবে পরিচালিত হয়, কতটা নির্ভরযোগ্য এর তথ্য?
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মানুষকে বোকা বানানোর অপচেষ্টা: টিআইবি
নতুন বছরে অনার বাংলাদেশের মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার
অরেঞ্জ ক্লাব পার্টনারদের নিয়ে বাংলালিংকের ‘২০২৪ উইন্টার ফেস্ট’
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত