বুধবার ● ৬ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সাথে বাক্কোর মতবিনিময় সভা
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সাথে বাক্কোর মতবিনিময় সভা
গত ৫ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিমের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী কমিটি সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বিএনপি’র স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সাথে বিপিও শিল্পের উন্নয়নে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বিএনপি’র স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ সময় বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন শক্তিশালী অর্থনীতি। আমরা জানি, পোশাক শিল্পের পরেই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করে চলেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। আউটসোর্সিং সেবাখাত বাংলাদেশের জন্য এমন একটি ক্ষেত্র যেটি বহু বছর ধরে আশার আলো সঞ্চার করে এসেছে দেশের উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, এবং যুব সমাজের কাছে। আমি মনেকরি, নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় উৎসাহিত করতে গবেষণায় অর্থায়ন করা প্রয়োজন। এই শিল্পের উন্নয়নে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ প্রযুক্তি পার্ক গড়ে তুলতে হবে, অতীতে ইন্টারনেট সেবাবন্ধের ফলে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, তাই দেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সারদের বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে পারলে তারা দেশের অর্থনীতিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে আমি বিশ্বাস করি। সম্ভাবনাময় এ খাতটিকে প্রবৃদ্ধির পর্যায়ে উন্নীত করতে এবং ব্যবসাবান্ধব শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে বাক্কোর অবদান অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
সভায় বাক্কো সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি-সম্ভাবনাময় খাতের অন্যতম বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) শিল্প খাত; যা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে সেবা রপ্তানির মাধ্যমে বছরে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আহরণকারী বর্ধনশীল এক শিল্পক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। বিপিও শিল্পে বর্তমানে কর্মরত মানব সম্পদের সংখ্যা ৮০ হাজারের অধিক; যার ৪০ শতাংশই নারী। এই শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আয়কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধি, নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতকরণ, রপ্তানি আয়ের বিপরীতে রপ্তানি প্রণোদনা/ নগদ সহায়তার হার বৃদ্ধি, আউটসোর্সিং শিল্পখাতের জন্য ঢাকার অভ্যন্তরে বিশেষ ইকোনমিক জোন বা প্রযুক্তি পার্ক নির্মাণ, বিশ^ব্যাপী বাংলাদেশের আউটসোর্সিং শিল্পখাতের ব্র্যান্ডিং এবং আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি মেলাগুলোতে অংশগ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করা। একই সাথে, এই শিল্পের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে সকল মহলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাক্কো সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম বলেন, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং তরুণদের আইটি-আইটিইএস খাতে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাক্কো কাজ করে যাচ্ছে। অতীতের ন্যায় আরো অসংখ্য ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোক্তা হবার প্রশিক্ষণ দিবে বাক্কো। ফ্রিল্যান্সারদের বাক্কো সদস্যপদ প্রদানের জন্য গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনা হচ্ছে। ফলে অচিরেই তারা এফিলিয়েটেড মেম্বার হিসেবে বাক্কো সদস্যপদ লাভ করবে।
সভায় বাক্কো কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে উপস্থিত ছিলেন, জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি মোঃ আবুল খায়ের, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল হক এবং পরিচালক আব্দুল কাদের, জায়েদ উদ্দীন আহমেদ, মেহেদী হাসান জুলফিকার এবং সায়মা শওকত।