মঙ্গলবার ● ১৫ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ‘ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি’ চালু করলো গ্রামীণফোন একাডেমি
‘ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি’ চালু করলো গ্রামীণফোন একাডেমি
গ্রামীণফোনের ফ্রি-লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, গ্রামীণফোন একাডেমির মাধ্যমে ‘ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি’ চালু করেছে অপারেটরটি। এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং-এ ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও মেন্টরশিপের সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। চাকরির বাজারের ঘাটতি পূরণ, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উন্মোচনসহ নতুন প্রজন্মকে দক্ষ করে তোলাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
ঢাকার জিপি হাউজে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি’ উদ্যোগের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি ওয়ার্কশপের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের প্রকল্পের কাঠামোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন মেন্টররা। তারা এই উদ্যোগের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। এই প্রোগ্রামে দুটি আলাদা ব্যাচে মোট ৬৪টি ইন্টার্যাক্টিভ অনলাইন ক্লাস অন্তর্ভুক্ত; যা ইউএক্স/ইউআই ডিজাইন ও ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান অনুষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে তার ব্যক্তিগত প্রত্যাশার কথা জানান। তিনি অংশগ্রহণকারীদের অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলো শোনেন, যেখানে বরগুনার আমতলী থেকে আসা একজন অংশগ্রহণকারী এবং শ্রবণ সমস্যায় ভোগা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের মতো অংশগ্রহণকারীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশার কথা উঠে আসে।
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিদ্যমান অসংখ্য সুযোগের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের ৪০ শতাংশ নারী এবং ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ঢাকার বাইরের, যা একে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। এই বৈচিত্র্য শুধু শিক্ষার পরিবেশকে সমৃদ্ধ করে না, বরং অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। এটি ফ্রিল্যান্সিং জগতে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গ্রামীণফোনের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দা তাহিয়া হোসেন অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের সুযোগগুলো খুঁজে বের করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রতিটি নতুন দক্ষতা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে অর্থবহ অবদান রাখার সুযোগ তৈরি করতে পারে।
প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী জিপি একাডেমির ফেসবুক গ্রুপ ও লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে যুক্ত হয়। এর মধ্য থেকে ৬০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেন এবং মেন্টরদের নেওয়া যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকারের পর ১০৬ জন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।