সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
বুধবার ● ২৫ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » আইসিটি মন্ত্রীর সংকটে ডিজিটাল বাংলাদেশ ?!?
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » আইসিটি মন্ত্রীর সংকটে ডিজিটাল বাংলাদেশ ?!?
৯৭৬ বার পঠিত
বুধবার ● ২৫ জুলাই ২০১২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আইসিটি মন্ত্রীর সংকটে ডিজিটাল বাংলাদেশ ?!?

আইসিটি মন্ত্রীর সংকটে ডিজিটাল বাংলাদেশ ?!?
।। খালেদ আহসান ।।
যুগ ধরে আইসিটি মন্ত্রণালয়>>>

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ শব্দ দুটি যুক্ত হয় ২০০৩ সালে বেগম খালেদা জিয়ার আমলে, তখন খুবই খুশি হয়েছিল বিজ্ঞান মনস্ক বিশেষজ্ঞরা এবং আশায় বুক বেঁধেছিল, অনেক স্বপ্ন এঁকেছিল। সবাই আশা করেছিল সত্যিকার অর্থেই মন্ত্রণালয়টিকে ঢেলে সাজানো হবে এবং বাংলাদেশ গ্লোবাল ভিলেজ-এ প্রবেশের স্বপ্নকে সফল করার সব উদ্যোগ নেবে। কিন্তু নতুন নামের মন্ত্রণালয়টি সংশ্লিষ্ট আইসিটি ব্যাক্তিদের হতাশ করে নাম বদলের তিন বছর সময় পার করার পরও মন্ত্রণালয়ের কাজের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন হয়নি। পূর্বে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় যেসব বিষয় নিয়ে কাজ করত নতুন নামের মন্ত্রণালয় সেই একই কাজ করতে থাকল। সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন মঈন খান। সুতারাং কোন পরিবর্তনই হলোনা নতুন নামের মন্ত্রণালয়ের।

এরপর দুই বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন আমল । তারা প্লাস মাইনাস-এর মাধ্যমে রাজনীতি বদলাতে চাইলেও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের উল্লেখ্যযোগ্য উন্নতি করতে পারেনি।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার সময় স্থপতি ইয়াফেস ওসমানকে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করে । এর পর ২০১০ সালে এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ গঠন করে দুজন সচিব নিয়োগ প্রদান করে। এই দুটি বিভাগকে দুটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ে উন্নীত করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আলোচিত-সমালোচিত মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে নিয়োগ দেয়। আমাদের জন্য এটি খুব সুখের ছিল না। উল্লেখ্য, যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা অভিযোগ উঠলে তাঁকে ওই মন্ত্রণালয় থেকে তাঁকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়!!!! বিগত প্রায় এক যুগ ধরে বিভিন্ন নামে এবং মর্যাদায় আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অস্তিত্ব টিকে থাকলেও প্রকৃত পক্ষে আইসিটির বাস্তবায়নে এই মন্ত্রণালয়ের কোন ভূমিকা ছিল না।

বিতর্কিত আইসিটি মন্ত্রীর পদত্যাগ
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে। এই চুক্তি বাতিলের জন্য মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকেই এত দিন পরোক্ষভাবে দায়ী করা হচ্ছিল। কারণ, বিশ্বব্যাংক তত্কালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। সেই থেকে দেশব্যাপী তাঁর পদত্যাগের দাবিও জোরালো হয়।

বহু জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে পদত্যাগ করলেন ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের আলোচিত-সমালোচিত মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র সোমবার নিশ্চিত করেছে।
রূপকল্প ২০২১ কোনদিকে ?
রূপকল্প ২০২১ অর্থাৎ ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষণার মাধ্যমে গরিষ্ঠ সংখ্যক তরুন প্রজন্মের সমর্থন নিয়ে এ সরকার গঠন হয়েছে। বলতে দ্বিধা নেই সরকার এবং সরকারের মন্ত্রী পরিষদ, সাংসদ এবং নীতি নির্ধারকসহ এমনকি আইসিটি বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও একক ভাবে কারো নিকট ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের রূপরেখাটা স্পষ্ট ছিল না। কিন্তু বিগত প্রায় সাড়ে তিন বছরে সর্ব স্তরের জনগনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা এবং অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাটি স্পষ্ট হতে শুরু করেছে এবং তাহলো সরকার তার সকল প্রতিশ্রুত সেবা ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে জনগনের হাতের নাগালে পৌছে দিতে চায়।
এমতাবস্তায়, আইসিটি বান্ধব বর্তমান সরকার তার সাড়ে তিন বছরে শাসনআমলে যদি আইসিটি মন্ত্রী এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় ঠিক করতে না পারে তাহলে রূপকল্প ২০২১ কোনদিকে হাঁটবে ?

আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার ?
একটি আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেই কি তার সফলতা পাওয়া যায়? প্রায় ছয় মাসের বেশি সময় পার হওয়ার পরও আইসিটি মন্ত্রণালয় নিয়ে আমরা হতাশ । বিশেষ করে এই মন্ত্রণালয়ের প্রথম মন্ত্রী হিসেবে সৈয়দ আবুল হোসেনের দায়িত্বপ্রাপ্তিকে নিয়ে। পদ্মা সেতুর জটিলতায় সৈয়দ আবুল হোসেন স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ ও হতাশ ছিলেন। তিনি দুর্নীতিবাজ বলে বিশ্বব্যাংকের চিৎকার তাকে অবশ্যই অস্থির করেছিল। হয়তো সেকারণেই ছয় মাস ধরে এ মন্ত্রণালয়টি প্রায় বসেই ছিল। তাহলে কি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার নেতৃত্ব এবং সরকারের সব কাজের সমন্বয়, কাদের হাতে থাকবে সেটি আবার নতুন করে ভাবা প্রয়োজন ?
না, আমরা চাই ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইসিটি মন্ত্রণালয় সরকারের সব কাজের সমন্বয় করুক ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় নেতৃত্ব দিক। এজন্য সরকার স্থির করবেন আইসিটি মন্ত্রণালয় কাকে কি দিয়ে চালাবেন ।

অন্যদিকে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক নজরুল ইসলাম খান। কিন্তু তাকে যদি একটি বসার জায়গা, অবকাঠামো ও জনবল প্রদান করা না হয় তবে তিনিও অন্ধ জগতে হাটতে শুরু করবেন।



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি নিয়ে টেন মিনিট স্কুল ও বিকাশের উদ্যোগ
কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে অপো বাংলাদেশ
মিডওয়াইফারি ডিপ্লোমা কোর্সে শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে বিকাশ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৪ হাজার শিক্ষার্থী পেল নতুন ল্যাপটপ
এনাবলার অব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলো মাস্টারকার্ড
জাইকার সহযোগিতায় বি-জেট ও বি-মিট প্রোগ্রামের সমাপনী প্রতিবেদন প্রকাশ
দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা সম্প্রসারণে ‘বেসিস জাপান ডে ২০২৪’
এআই অলিম্পিয়াডের বৈজ্ঞানিক কমিটির সদস্য হলেন বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন
সিআইপি সম্মাননা পেলেন উল্কাসেমির সিইও মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান
রিয়েলমি সি৭৫ পানির নিচে সচল থাকবে ১০ দিন