বুধবার ● ২৫ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » সিসকো তাদের মোট কর্মীর ২ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে
সিসকো তাদের মোট কর্মীর ২ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যন্ত্র্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসকো সিস্টেমস ইনকরপোরেটেড তাদের মোট কর্মীর ২ শতাংশ অথবা ১ হাজার ৩০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যয় কমানোয় এবং ইউরোপের ঋণ সমস্যার কারণে প্রতিষ্ঠানটি এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে জানিয়েছে এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র। খবর ব্লুমবার্গের।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসেভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির ই-মেইল অনুযায়ী কর্মী ছাঁটাই মূলত প্রতিষ্ঠান সরলীকরণবিষয়ক চলমান প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এ ছাড়া বিশ্বের বেশকিছু অংশে অর্থনৈতিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিসকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন চেম্বার্স প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক পরিস্থিতি ভালো করার চেষ্টায় আছেন। এর পরও এ বছর সিসকোর শেয়ারের দাম ১১ শতাংশ কমেছে। চতুর্থ প্রান্তিকের মুনাফার পরিমাণ বিশ্লেষকদের অনুমানের চেয়েও কম হতে পারে বলে মে মাসে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। তৃতীয় প্রান্তিকে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সিসকোর অর্ডারের পরিমাণ ১ শতাংশ কমেছে। চেম্বার্স ইউরোপের ঋণ সমস্যা, সরকারি ব্যয়ে দুর্বলতা এবং বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্ডার কমে যাওয়াকে এ জন্য দায়ী করেন। এ ছাড়া তার বক্তব্য অনুযায়ী বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সিসকোর পেছনে ব্যয় করা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সংশয় প্রকাশ করেছে। চেম্বার্স বলেন, ‘ব্যষ্টিক অর্থনীতির অনেক কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।’
জেএমপি সিকিউরিটিজ এলএলসির বিশ্লেষক এরিক সাপিগারের বক্তব্য অনুযায়ী মুনাফার পরিমাণ না বাড়লে সিসকো হয়তো আরও কর্মী ছাঁটাই করতে পারে।
গত বছর চেম্বার্স সিসকো থেকে ৬ হাজার ৫০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মূলত বার্ষিক ব্যয় ১০০ কোটি ডলার কমানো এবং মুনাফা প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটি এ সিদ্ধান্ত নেয়। চেম্বার্সের পক্ষ হতে প্রতিষ্ঠানটির ফ্লিপ ভিডিও ক্যামেরা ইউনিট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতির জন্য কাউন্সিলভিত্তিক ব্যবস্থাপনা অবকাঠামোর বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। জুনিপার নেটওয়ার্কস ইনকরপোরেটেড ও হিউলেট প্যাকার্ড কোম্পানির মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপরীতে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পণ্যের দাম কমানো হয়।
আগামী ১৫ আগস্ট সিসকোর চতুর্থ প্রান্তিকের ফল প্রকাশ করার কথা। আগের বছরের চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির আয় ২-৫ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৪০ থেকে ১ হাজার ১৮০ কোটি ডলারের মধ্যে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।