রবিবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » বেসিস কার্যালয়ে মব জাস্টিসের চেষ্টা
বেসিস কার্যালয়ে মব জাস্টিসের চেষ্টা
সংস্কারের দাবিতে গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাওরান বাজারের বেসিস কার্যালয় অবরুদ্ধ করেছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। বিকেলে ৩০-৪০ জনের মতো শিক্ষার্থী বেসিস কার্যালয়ে প্রবেশ করে। এসময় তারা বেসিস প্রেসিডেন্ট এর সঙ্গে দেখা করতে চায় এবং হৈচৈ শুরু করে।
এতে অফিসে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেখানকার নারী কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। জানা গেছে, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে যখন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বেসিস কার্যালয়ে প্রবেশ করে তখন এক্সেস টু ফাইন্যান্স কমিটির রেগুলার প্রোগ্রামের গেস্ট বেশ কয়েকজন বেসিস সদস্য, তিন জন ইসি সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এর দুইজন প্রতিনিধি। দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত ছিলেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এ সময় বেসিসের সিনিয়র সহ সভাপতি এম রাশিদুল হাসান এবং সহ সভাপতি (প্রশাসন) সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জাইকা প্রতিনিধি এবং মেয়ে কর্মীদের অফিস ত্যাগের ব্যবস্থা করেন। এসময় আন্দোলনকারীরা বেসিস সভাপতির সঙ্গে দেখা করার দাবি জানান।
এ ঘটনায় বেসিস সহ-সভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান বলেন, বেসিস একটি বাণিজ্য সংগঠন, যা স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে ইসি প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরের মে মাসে বেসিসের নতুন ইসি নির্বাচিত হয়। সদস্য কোম্পানিগুলোর কাছে ইসি জবাবদিহি করে । সদস্য ছাড়া বহিরাগতরা বেসিস ইসির পদত্যাগ চাওয়া আইনসম্মত না। বেসিস অফিসে মেম্বার, স্টাফ, ইসি, জাইকার প্রতিনিধিদের আটকে রেখে এই ধরনের কার্যক্রমের নিন্দা জানান তিনি।
হট্টগোলের মধ্যে সন্ধ্যার দিকে বেসিস কার্যালয়ে আসে সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছাত্রদের বেসিস কার্যালয়ে আসার কারন জানতে চান এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে ১২ জন ছাত্র, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বেসিস ইসি’র দুই জন সদস্য মিলে এ বিষয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় সেনাবাহিনী স্পষ্ট করে বলেন, এখানে মব জাস্টিসের নামে কোন কিছু করতে দেওয়া হবে না। ছাত্ররাও বুঝতে পারেন পুরোপুরি সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে তারা বেসিসে আসেন নি।
বেসিসের কয়েকজন সদস্য নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পেছনে, কোন কোন বেসিস সদস্যদের প্রশ্রয় থাকার সম্ভাবনা আছে। তারা বলেন, এ ধরনের মব জাস্টিসের নামে যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একইসাথে বেসিসের কোন সদস্য প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকলে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। তাছাড়া ছাত্র পরিচয়ে যারা বেসিস কার্যালয়ে অরাজকতা করার চেষ্টা করেছে, তারা কারা এ বিষয়ে বেসিস নেতৃবৃন্দকে খোঁজখবন নেয়ার পরামর্শ দেন বেসিস সদস্যরা।
ছাত্রদের সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপু, দীপু নামে তাদের ডাকতে শোনা গেছে। এর মধ্যে কয়েকজন বেসরকারী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।