বুধবার ● ১৮ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » ইরানে জেডটিইর প্রযুক্তি সরবরাহের বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে
ইরানে জেডটিইর প্রযুক্তি সরবরাহের বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে
ইরানে চীনা প্রতিষ্ঠান জেডটিইর প্রযুক্তি সরবরাহের বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আশা করছে, তদন্তটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে। খবর রয়টার্সের।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই দেশটির ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এ নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের তৈরি প্রযুক্তিপণ্য ইরানে সরবরাহ করা যাবে না। গত মার্চে রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চীনের শেনঝেনভিত্তিক জেডটিই ইরানের কাছে বিভিন্ন ধরনের উচ্চপ্রযুক্তির পণ্য সরবরাহ করেছে, যার বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি। এ প্রযুক্তি দিয়ে ইরানের সরকার দেশটির ল্যান্ডলাইন, মোবাইল ও ইন্টারনেটের ওপর নজরদারি করতে পারবে বলে জানিয়েছে আরেক ওয়েবসাইট দ্য স্মোকিং গান।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই জেডটিইর বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিল চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মুখপাত্র শেন দায়াং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা আশা করব, যুক্তরাষ্ট্র জেডটিইর বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করবে।’
এফবিআইয়ের তদন্তের সিদ্ধান্তে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্ টেলিকম যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেডটিইর ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এর ব্যবসা বিস্তৃত করতে চাইছে। কিন্তু এ অভিযোগের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
কেবল এফবিআইই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের ইন্টেলিজেন্স কমিটিও এ বিষয়ে তদন্ত করছে বলে রয়টার্স জানায়।
বর্তমানে চীনের দ্বিতীয় বৃহত্ টেলিকম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেডটিই। এ ছাড়া এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্ সেলফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। সেলফোনের বাজারে এর বাজার দখলের পরিমাণ ৪ দশমিক ২ শতাংশ। গার্টনারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। চীন সরকারের জেডটিইতে স্বত্ব রয়েছে।
ইরানের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক রয়েছে বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি ভিত্তিহীন বলে জানান শেন। তিনি বলেন, ‘অন্য দেশের মতো চীনও ইরানের সঙ্গে স্বাভাবিক, খোলামেলা ও স্বচ্ছ সম্পর্ক রেখেছে। আমরা মনে করি, এটি জাতিসংঘের নিয়মের বিরোধী নয়। আমরা অন্য দেশ থেকে এ ধরনের কোনো ভিত্তিহীন অভিযোগ গ্রহণ করব না।’
ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি চালাচ্ছে- এ অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। পক্ষান্তরে ইরান জানিয়েছে, তারা কেবল শান্তিপূর্ণ কাজের জন্য এ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।