সোমবার ● ৮ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » এফবিসিসিআইআই আইআরসি এর আয়োজনে এক্সটেন্ডেড প্রসিডিউর রেসপনসিবিলিটি বিষয়ক সেমিনার
এফবিসিসিআইআই আইআরসি এর আয়োজনে এক্সটেন্ডেড প্রসিডিউর রেসপনসিবিলিটি বিষয়ক সেমিনার
দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআইআই) ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (আইআরসি) এর আয়োজনে ৮ জুলাই ঢাকার এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ভবনে “এক্সটেন্ডেড প্রসিডিউর রেসপনসিবিলিটি (ইপিআর)” বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ এবং আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, সরকার প্লাস্টিক খাতকে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত রপ্তানি খাত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী এবংকার্যকরী। ইপিআর বাস্তবায়িত হলে শিল্পায়নের ফলে সৃষ্ট পরিবেশদূষণ প্রতিরোধ অনেকটা সম্ভব হবে।বৈশ্বিক প্লাস্টিক বাজারের ৫৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে মাত্র ০.৬% অংশ বাংলাদেশের। সরকার এই খাতের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১৩৪২.৭০কোটি টাকা। প্রতিযোগিতামূলক ও নতুন নতুন বাজার তৈরি হওয়ায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্যর প্তানি বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এক্সটেন্ডেড প্রসিডিউর রেসপনসিবিলিটি (ইপিআর) পরিবেশ দূষণ রোধে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
সেমিনারের সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন বলেন, শ্রম এবং মূলধনকে একত্রিত করে প্লাস্টিক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানিমুখী বাজার উভয়ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহার ২০০৫ সালে ৩.০ কেজি থেকে বেড়ে ২০২০ সালে ৯.০ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। ঢাকায় বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহার ২৪ কেজি। ইপিআর বাস্তবায়িত হলে আমাদের সার্কুলার ইকোনমিতে যেমন অবদান রাখবে, তেমনি পারিবেশদূষণ রোধেও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই-আইআরসি এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আজাদ চৌধুরি বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান এম এ মোমেন, বিপিজিএমইএ সভাপতি শামিম আহমেদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার এর অন্যান্য পরিচালকবর্গ, বাংলাদেশের বিভিন্ন চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর সদস্যবৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশন, ঢাকার সেক্রেটারি (পলিটিকাল) ভ্যানেসা বিউমন্ট।
সেমিনারে এক্সটেন্ডেড প্রসিডিউর রেসপনসিবিলিটি এর বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আলোচনা হয় এবং ইপিআর বাস্তবায়নে সরকারী বেসরকারী সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।