বুধবার ● ৩ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ‘জি-ব্রেইন’ উদ্বোধন, এআই আইনের খসড়া সেপ্টেম্বরে
‘জি-ব্রেইন’ উদ্বোধন, এআই আইনের খসড়া সেপ্টেম্বরে
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সভিত্তিক (এআই) সরকারি জিপিটি প্ল্যাটফর্ম ‘জি-ব্রেইন’ (গভর্নমেন্ট ব্রেইন) উদ্বোধন করা হয়েছে। চ্যাট জিপিটির আদলে তৈরি করা এ প্ল্যাটফর্মটি প্রথমে সংবিধান, বাজেট ও স্টার্টআপ ফিচার নিয়ে তৈরি হয়েছে। পরে ধীরে ধীরে আরও বিভিন্ন ফিচার এতে যুক্ত করা হবে। বুধবার (৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর এ টুলসটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি জানান আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআই আইনের খসড়া তৈরি করা হবে। ।
দেশের সংবিধান, বাজেট ও স্টার্টআপ-এ তিনটি জিপিটি ফিচার নিয়ে জি-ব্রেইনবিডি.এআই প্ল্যাটফর্মটি যৌথভাবে তৈরি করেছে ওরিয়ন ইনফরমেটিকস ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি। ২৫ লাখ টাকার উদ্ভাবনী অনুদানের অর্থে জি-ব্রেইন তৈরি করা হয়েছে।
জি-ব্রেইনের বৈশিষ্ট্য ও আর্কিটেকচার উপাস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টি কাজী জামিল আজহার। তিনি জানান, এআই অনেকটাই মানুষের মস্তিষ্কের মতো কাজ করে। মানুষের ব্রেইন যেভাবে চিন্তা করে, এটাও একইভাবে চিন্তা করতে সক্ষম। তিনি বলেন, কি-ওয়ার্ড সার্চের ক্ষেত্রে ‘ভেক্টর বেইজড’ বড় ইস্যু। তাই এআই মানুষের মতো ডিটারমেনিক নয়। তার ফলাফল সবসময় একই থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ডাটা সেন্টার থেকে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এআই সেবা পেতে তাদের ডাটার বিপরীতে অর্থ পাঠিয়ে ফলাফল পেতে হয়। এজন্য জাতীয়ভাবে নিজস্ব এআই থাকা দরকার। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
ওরিয়ন ইনফরমেটিকস চেয়ারম্যান স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, সারাবিশ্ব যখন এআই-কেন্দ্রিক প্রস্তুতি নিচ্ছে, বাংলাদেশও তখন থেমে থাকবে না এটা স্বাভাবিক। আমরাও এআই ব্যবহারে এগিয়ে থাকতে চাই। পরিবর্তনের সময় নিজেদের বদলাতে না পারলে ছিটকে পড়তে হবে। এক্ষেত্রে তিনটি জিপিটি তৈরির মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করেছি চ্যাটজিপিটির দিকে চেয়ে আমরা বসে থাকবো না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এআই খুব দ্রুত শক্তিশালী হয়ে উঠছে। সৃজনশীলতার মাধ্যমে এটি দৈত্যকার হয়ে উঠছে। ভালোভাবে এর ব্যবহার শিখতে হবে। পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে, সক্ষমতাও অর্জন করতে হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্বে সরকার সর্বাত্মক গুরুত্ব দিচ্ছে।