বৃহস্পতিবার ● ২৭ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ‘ব্লেন্ডেন্ড লার্নিং-ইন-স্মার্ট এডুকেশন’ শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন
‘ব্লেন্ডেন্ড লার্নিং-ইন-স্মার্ট এডুকেশন’ শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন
দেশের উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের প্রায় ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এইসব শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববাজারের চাহিদা উপযোগী আরো দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে উৎপাদনশীল অর্থনীতি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করেছে সরকার। ২৭ জুন রাজধানীর আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা ইনস্টিস্টিউটে ‘স্মার্ট অর্থনীতি বিনির্মাণে স্মার্ট শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক উজ্জ্বল অনু চৌধুরী এবং এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী সম্পাদিত ‘ব্লেন্ডেন্ড লার্নিং-ইন-স্মার্ট এডুকেশন: পার্সপেক্টিভস ফর্ম সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
প্যানেল আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, উচ্চশিক্ষায় গতানুগতিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করে বিশেষায়িত দক্ষতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগে শিক্ষাক্রমের রূপান্তর করা হচ্ছে। একইভাবে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতে শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে রূপান্তর করতে হবে, যাতে বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করা সম্ভব হয়।
তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে শিক্ষা, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া এবং ইন্ড্রাস্ট্রিকে একসাথে কাজ করতে হবে। এতে করে বিশ্ববাজারের চাহিদা উপযোগী করে স্মার্ট বাংলাদেশের অর্থনীতি বিনির্মাণে দক্ষ জনবল প্রস্তুত করা যাবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক পরিবর্তনটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আজকে একজন শিক্ষার্থী যা শিখছে ভবিষ্যতে তার প্রয়োজন নাও হতে পারে। ভবিষ্যতে নতুন যা আসবে তা শেখার মানসিকতা থাকতে হবে।
প্যানেল আলোচনায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া এবং ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিনিধিগণ দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সাথে শিক্ষার সমন্বয় সাধনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী-এর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. এ কিউ এম শফিউল আজম ‘স্মার্ট অর্থনীতির জন্য শিক্ষা’ বিষয়ক উপস্থাপনা তুলে ধরেন। আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান, স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজেস লিমিটেডের হেড অব এইচআর মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিডিজবস-এর সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর। এসময় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া ও ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।