শুক্রবার ● ১৪ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » উত্তরাঞ্চলে এগ্রিটেক স্টার্টআপ ‘ফসল’ ও ‘সেফ’ এর ফারমার্স সেন্টার চালু
উত্তরাঞ্চলে এগ্রিটেক স্টার্টআপ ‘ফসল’ ও ‘সেফ’ এর ফারমার্স সেন্টার চালু
কৃষি প্রযুক্তিভিত্তিক বাংলাদেশি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ‘ফসল ডটকম লিমিটেড’ ও ‘সেফ’ একসঙ্গে যুক্ত হয়ে এবার কৃষকের পণ্য বিক্রির সমস্যা সমাধানে বরেন্দ্র অঞ্চলের নাটোর, রাজশাহী ও বগুড়া জেলায় ৩টি ফারমার্স সেন্টার চালু করেছে। গত শনি, রবি ও সোমবার প্রায় তিন শতাধিক কৃষকের উপস্থিতিতে ফসল ফারমার্স সেন্টারগুলো চালু করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেফের প্রতিষ্ঠাতা আরিফা জেসমিন কণিকা, ফসলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সাকিব হোসাইন, সেফের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশা, সিংড়া পৌর মেয়র মো জান্নাতুল ফেরদৌস, ফসলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মামুনুর রশিদ, তিনটি উপজেলার কৃষি অফিসার, ফসলের হেড অফ ডিস্ট্রিবিউশন নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় প্রায় ৪ লাখ কৃষক রয়েছে। এসব কৃষকের কৃষি পণ্য বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ক্রেতার কাছে যায়। এসব কৃষক প্রতিনিয়ত তাদের পণ্যের সঠিক দাম ও বিক্রির অনিশ্চয়তা নিয়ে থাকে। এই ফসল ফারমার্স সেন্টারগুলোর মাধ্যমে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য কোন রকম মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে পারবে। কৃষকের পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। যা টেকনোলজি ও সরাসরি ‘ফসল’ এর সাপ্লাই চেইন ব্যবহার করলে ৪ শতাংশের নিচে রাখা সম্ভব।
সেফের প্রতিষ্ঠাতা আরিফা জেসমিন কণিকা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। দেশে কৃষকের কৃষিযোগ্য জমি বাড়ছে না বরং তা প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে। তাই এসব জমিতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে আমাদের সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ফসলের সঙ্গে সেফ যুক্ত হয়ে কৃষিতে কৃষকের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসব ফসল সেন্টার থেকে কৃষকরা সব রকম সুবিধা নিতে পারবে।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও সাকিব হোসাইন বলেন, আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০টি ফসল সেন্টার তৈরি করতে চাই। যেখানে প্রতিটি সেন্টার ফসলের সাপ্লাই চেইন টেকনোলজি দ্বারা কানেক্টেড থাকবে। এই ফারমার্স সেন্টারগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১ মিলিয়ন কৃষক ৪০টিরও বেশি জেলাতে পণ্য বিক্রি করতে পারবে। এর ফলে দেশের কৃষি সাপ্লাই চেইনে সাসটেইনেবল ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া তৈরি হবে।