শনিবার ● ৯ জুলাই ২০১১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ফেসবুকে প্রেম কুলাউড়ায় ফিলিপিনো তরুণী উদ্ধার
ফেসবুকে প্রেম কুলাউড়ায় ফিলিপিনো তরুণী উদ্ধার
দুজন-ই ভিন্ন দেশের নাগরিক একজন বাংলাদেশি, আরেকজন ফিলিপিনো। ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেম, তারপর বিয়ে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশি তরুণের লোভের কাছে হার মেনেছে প্রেম। টাকার কারণে শারীরিক নির্যাতনও করা হয় ফিলিপিনো ওই তরুণীকে। বৃহস্পতিবার দূতাবাসের চেষ্টায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বনগাঁও থেকে শারন শাকুর (২৪) নামে ওই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাকে ঢাকার ফিলিপাইন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ওই তরুণীর বাংলাদেশি স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কুলাউড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আকুল মিয়ার ছেলে কাওছার আহমদ চাকরিসূত্রে দীর্ঘ দিন সৌদি আরব ছিলেন। সেখানে ফেসবুকের মাধ্যমে ফিলিপিনো তরুণী শারন ভেলাসকবাল দেবজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এই সূত্রে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।গত ১ মে শারন বাংলাদেশে এসে কাওছারের বাড়িতে ওঠেন। পরে শারন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে। নাম পরিবর্তন করে আয়েশারাহ শারন শাকুর নাম গ্রহণ করেন। গত ৫ মে কাওছারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
৩ সপ্তাহ পর শারন ফিলিপাইনে ফিরে যান। গত ১৬ জুন তিনি বাংলাদেশে এসে কাওছারের সঙ্গে ঢাকার এশিয়া প্যাসিফিক হোটেলে অবস্থান করেন। দুই দিন পর স্ত্রীকে হোটেলে রেখে পালিয়ে আসেন কাওছার। গত ৫ জুলাই শারন কাওছারের বাড়িতে গেলে কাওছার ও তার বাবা বাড়িঘর মেরামতের জন্য শারনের কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দেওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার তারা শারনের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। এ টাকা না দেওয়ায় কাওছার ও তার বাবা-মা শারনকে শারীরিক নির্যাতন করেন। বিষয়টি মোবাইল ফোনে ঢাকার ফিলিপাইন দূতাবাসকে জানান শারন। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার পুলিশকে লিখিতভাবে জানায়।
কুলাউড়া থানা পুলিশ রাতে শারনকে উদ্ধার করে।
গতকাল দুপুরে ফিলিপিন দূতাবাসের তৃতীয় সচিব মেরি গ্রেইজ ডি উইলিয়াময়ার কুলাউড়ায় এলে পুলিশ শারনকে তার কাছে হস্তান্তর করেন।
এ ঘটনায় কাওছার ও তার বাবা-মাকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার ওসি কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শারনকে দূতাবাস কর্মকর্তার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।