সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
বৃহস্পতিবার ● ৭ জুলাই ২০১১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জনগণ সেবার জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না, বরং সেবাই জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জনগণ সেবার জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না, বরং সেবাই জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে
৮৫৯ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৭ জুলাই ২০১১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জনগণ সেবার জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না, বরং সেবাই জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে

তিন দিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা- ২০১১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের সরকার দিনবদলের সরকার। এই দিনবদলের অর্থ শুধু প্রথাগত প্রশাসনিক সংস্কার নয়, বরং উদ্ভাবনী চিন্তা, সৃজনশীলতা ও কাজ দিয়ে যা কিছু অচল, অমঙ্গলকর সেসবের অবসান ঘটানোও বটে। আর সেই সব উদ্ভাবনের আধুনিক মাধ্যম হল ডিজিটাল প্রযুক্তি- সেজন্যই ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় বারের মত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা উদ্বোধন করতে এসে আমি আনন্দিত। বিশেষ করে যখন দেখছি যে, উদ্ভাবনের যে ধারা আমরা শুরু করেছি তা আরো বেগবান হচ্ছে, আরো নতুন নতুন সরকারী দপ্তর নতুনতর সেবাকে প্রযুক্তির অভিনব ব্যবহারের মাধ্যমে জনমুখী করে তুলছে, তখন আমি আশাবাদী না হয়ে পারি না।

তিনি বলেন, গত বছর প্রথম ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সরকারী দপ্তর কিভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারী সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাচ্ছে তার একটা চিত্র আমরা পেয়েছিলাম। এবছর দ্বিতীয় জাতীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার মধ্য দিয়ে তারই একটি হালনাগাদ চিত্র আমরা দেখতে পাব বলে আশা করছি। আমি জেনেছি যে, এবারের মেলায় ৮০ টি সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং ৬ টি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলির এসোসিয়েশন তাদের ই-সেবাগুলিকে জনগণের সামনে তুলে ধরেছে।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে যে, বিশ্বের তাবৎ উন্নত দেশের তুলনায় পিছিয়ে থেকেও তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুত, উন্নততর ও সহজলভ্য সেবা দিতে চাইলে আমাদের সেসব দেশের চেয়ে অনেক বেশী দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সরকারের প্রশাসন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন, নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের সবাইকে নতুন করে ভাবতে হবে- উদ্ভাবন করতে হবে কিভাবে, কোন পথে ১৫ কোটি বাঙালীর এই জাতির সেবক ও পথপ্রদর্শক হিসাবে তাঁরা সফল হতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রথম কাজটি হল সেবাকে জনমুখী করা। আমরা চাই জনগণ সেবার জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরবে না, বরং সেবাই জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যাবে। জনগণ যাতে সহজে, তাদের নিজ নিজ জীবনযাত্রার সাথে তাল রেখে সবচেয়ে সুবিধাজনক সময়ে ও পদ্ধতিতে সরকারী সেবা পেতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে জনগণ যেন একাধিক সরকারী দপ্তরের বদলে একটি দপ্তরে বা একটি ওয়েবসাইটে বা একটি ফোন নম্বরে ফোন করেই সেবা পেতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেজন্য সরকারী সেবাকেন্দ্রগুলিকে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এমনকি গ্রাম ভিত্তিক করা যায় কিনা তা ভেবে দেখতে হবে।

দ্বিতীয়ত, নিয়ত পরিবর্তনশীল এই যুগে জনগণ কি সেবা চান সে অনুযায়ী সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা। যে সেবা জনগণের কোন কাজে আসে না, সে সব সেবার বদলে যে সব সেবা তাদের দরকার সেসবের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। যেমন, আজকাল শহর কিংবা গ্রামে সকল স্তরের জনগণই দেশ বা দেশের বাইরে কোথায় কোন চাকুরী আছে, বা কি করে সেই সব চাকুরী পাওয়া যায় সে ব্যাপারে জানতে চান। এ ব্যাপারে নির্ভর যোগ্য বেসরকারী সেবা বড় শহর কেন্দ্রিক, আর সরকারী সেবা খুবই অপ্রতুল। এক্ষেত্রে কিভাবে এবং কী ধরনের সরকারী সেবা প্রদান করা যায় তা ভেবে দেখতে হবে। সাথে সাথে কী করে নিয়মিতভাবে জনগণের চাহিদা নিরুপন ও সে অনুযায়ী সরকারী সেবার প্রকৃতি ও পরিধি বদলানো যায় তার উপায়ও বের করতে হবে।

তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে মানব ইতিহাসে উদ্ভাবনী শক্তির যে অমিত সম্ভবনা তা উল্লেখ করতে চাই। উদ্ভাবনী শক্তির বৈশিষ্ট্য হল সকল সীমাবদ্ধতার মাঝেও যা’কিছু আছে তার অভিনব ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যার নতুনতর সমাধান করা। আমাদের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, রয়েছে দক্ষ মানব সম্পদের সীমাবদ্ধতা। তাই বলে আমাদের বসে থাকার অবকাশ নাই। এই সব সীমাবদ্ধতার মাঝে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে সরকারের পরতে পরতে বহুদিনের জমে থাকা দূর্নীতি আর দুঃশাসনের ধুলো-ময়লাকে ঝেড়ে একটি জনমুখী সরকার ব্যবস্থা প্রণয়নে উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগের কোন বিকল্প নাই।
এ প্রসঙ্গে আমি যশোরসহ আরো বেশ কয়েকটি জেলায় যে অভিনব ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে জনগনের সেবা প্রদানের পদ্ধতি বদলে ফেলার কাজ চলছে তা উল্লেখ করতে চাই। লক্ষ্যণীয় যে এই সব পাইলট জেলার বাস্তবতা আর দশটি জেলার মতই। কিন্তু শুধুমাত্র প্রযুক্তির লাগসই ব্যবহারের মাধ্যমে তারা আজ জনসেবার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। এটাই উদ্ভাবনী শক্তির উদাহরণ।

তিনি বলেন, গতবারের মত এবারও, এই মেলায় অংশগ্রহনকারীদের সবচেয়ে উদ্ভাবনী সেবা প্রদানকারী দপ্তরকে পুরুস্কৃত করা হবে। আমি আশাকরি এই পুরস্কার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জন্য একটি প্রেরণা হয়ে থাকবে। আগামীতে তারা আরো কাছে থেকে জনগণকে তাদের প্রয়োজনীয় সেবাটি পৌঁছে দিয়ে তাদের আজকের অগ্রগামীর সন্মান ধরে রাখতে সচেষ্ট থাকবে। এ জাতীয় পুরস্কার অংশগ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে একটি ইতিবাচক প্রতিযোগিতারও সৃষ্টি করবে বলে আশা করি।

তিনি বলেন, আমি আশা করি আগামী মেলায় আজকের পিছিয়ে থাকা দপ্তরগুলি তাদের উদ্ভাবন দিয়ে সকলের দৃষ্টি কেড়ে নিবেন। জনগণ তাঁদের কাছে সেটিই আশা করেন এবং সরকার তাঁদেরকে এই দিক নির্দেশনাই প্রদান করেছেন। এ মেলা আয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় আমার কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই। একই সাথে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার আমাদের এই প্রচেষ্টায় বিশ্বস্ত সাথী হবার জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি) কেও ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, আমি বক্তৃতার শুরুতেই বলেছিলাম, সবদেশের সাথে পাল্লা দিতে গেলে আমাদের অগ্রগতি হতে হবে দ্রুততর। তাই এক্ষেত্রে অগ্রগামী দেশগুলি কিভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করছে তা আমাদের দিকনির্দেশনা দিতে পারে, কিন্তু ঠিক কিভাবে আমরা দ্রুততর হব সেটি আমাদেরই বের করে নিতে হবে। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামো, শিক্ষা ও দক্ষতার মান, জনগণের প্রবল ইচ্ছা শক্তি ও আগ্রহ, সব কিছু মাথায় রেখেই আমাদের পথ তৈরী করে নিতে হবে। সেই প্রেক্ষাপটে, আমাদেরকে শিখতে হবে নিজের কাছ থেকেই। এধরনের মেলা নিজেদের কাছ থেকে শিখে নতুন উদ্যমে পথ চলতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, সরকারি কমর্কান্ডে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলির উদ্ভাবনী শক্তি ও জনগণের দোরগড়ায় সেবা নিয়ে যাবার সদিচ্ছার ওপর আমার ও এ দেশের জনগণের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি আশা করবো তাঁরা আমার ও দেশবাসীর এই আস্থাকে বাস্তবে রূপ দিতে তাঁদের শক্তি, মেধা ও সময়কে নিয়োজিত করবেন।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ই-তথ্য কোষ চালু করা হয়েছে। এই তথ্যকোষে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইন ও মানবাধিকার, নাগরিক সেবাসহ জীবন-জীবিকাভিত্তিক প্রয়োজনীয় তথ্য থাকবে। যে কেউ এখান থেকে প্রয়োজন মতো তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৮ হাজার ৫শ’টি পোস্ট অফিসে ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি স্থাপন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সারাদেশে টেলিফোন ও ইন্টারনেটের আওতা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। প্রাপ্যতা সাপেক্ষে ঢাকার বাইরে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের সকল উপজেলাকে মোবাইল ইন্টারনেটের আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮২-তে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়েছে।

তিনি বলেন, ৭টি বিভাগের ৫৬টি জেলায় ও ৫৭টি উপজেলাকে ব্রড ব্রান্ড ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এ অর্থবছরে শেষ হবে। এক হাজার ইউনিয়নকে অপটিক্যাল ফাইবারের আওতায় আনার কাজ শুরু করা হয়েছে। দ্রুতগতিতে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়ার জন্য ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির উন্নয়ন কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকারি কাজে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। সকল সরকারি দফতরকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে ই-জিপি সিস্টেম ও ওয়েব পোর্টাল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, মাঠ প্রশাসনের কাজের গতিশীলতা আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ৭টি বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম চালুর কাজ এগিয়ে চলছে।

বাংলা ভাষায় ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট করার কাজ চলছে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০১২ সালের মধ্যে আমরা ই-কমার্স চালু করতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইসিটি ইনকিউবেটর স্থাপনের কাজ অব্যাহত রয়েছে। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে আইটি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার অদূরে হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্যাটেলাইট স্থাপনের জন্য আমাদের সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। রয়েছে দক্ষ মানব সম্পদের সীমাবদ্ধতা। তাই বলে আমাদের বসে থাকলে বলবে না। এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে জমে থাকা দুর্নীতি ও অপশাসন দূর করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে একটি জনমুখি সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা। জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগের কোন বিকল্প নেই।’
প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ইশতেহারে দিনবদলের সনদে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে অঙ্গীকার আমরা করেছিলাম তা বাস্তবায়নে অনেক দূর এগিয়েছি।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য নতুন নতুন সেবার উদ্ভাবন হচ্ছে। অধিক সংখ্যক সরকারি প্রতিষ্ঠান সেসব সেবা ও প্রযুক্তি নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছে। আমরা এখন নিশ্চিতভাবে বলতে পারি ডিজিটাল প্রযুক্তি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের ভোগান্তি অনেক লাঘব করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল, রেলওয়ের টিকিট, চিনিকলে আখ সরবাহের পূর্জিসহ অনেক ধরনের সাধারণ সেবা এখন সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আখ চাষীদের জন্য মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে চালু করা হয়েছে ডিজিটাল পূর্জি ব্যবস্থাপনা।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের সরকারি ফরম, সরকারি গেজেট, সরকারের বিশেষ ঘোষণা, ইমিগ্রেশন, পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত তথ্য, চাকরি সংক্রান্ত তথ্য, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি সরকারি সেবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ই-বুক প্রণয়ন ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম স্থাপন। ইতিমধ্যে সারাদেশে ২০ হাজার ৫শ’টি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসায় একটি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কম্পিউটার প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী তৈরির লক্ষ্যে দেশের ৭১টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিভিন্ন কোর্স চালু করা হয়েছে। এক হাজার ৪শ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় আইসিটি ইন্টার্নশীপ কার্যক্রমের আওতায় প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে।

তিনি বলেন, দেশের ৫টি উপজেলায় কমিউনিটি ই-সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে দেশের সকল উপজেলায় তা স্থাপন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সেবার অন্যতম সুবিধা হচ্ছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। জনগণের দল হিসেবে আওয়ামী লীগ তা করতে বদ্ধপরিকর। আর এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশ।



প্রধান সংবাদ এর আরও খবর

২০৩০ সাল নাগাদ ৫ হাজার সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান করবে উল্কাসেমি ২০৩০ সাল নাগাদ ৫ হাজার সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান করবে উল্কাসেমি
দেশের বাজারে লেক্সারের জেন৫ এসএসডি দেশের বাজারে লেক্সারের জেন৫ এসএসডি
বাজারে এলো স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট চিপসেটের রিয়েলমি জিটি ৭ প্রো স্মার্টফোন বাজারে এলো স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট চিপসেটের রিয়েলমি জিটি ৭ প্রো স্মার্টফোন
সর্বাধিক বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় শাওমি রেডমি ১৩সি সর্বাধিক বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় শাওমি রেডমি ১৩সি
নাসার গ্লোবাল ফাইনালিস্টের তালিকায় বাংলাদেশের ‘টিম ইকোরেঞ্জার্স’ নাসার গ্লোবাল ফাইনালিস্টের তালিকায় বাংলাদেশের ‘টিম ইকোরেঞ্জার্স’
দেশের বাজারে ভেনশন ব্র্যান্ডের স্মার্ট ডিসপ্লে যুক্ত পাওয়ার ব্যাংক ও ইয়ার বাডস দেশের বাজারে ভেনশন ব্র্যান্ডের স্মার্ট ডিসপ্লে যুক্ত পাওয়ার ব্যাংক ও ইয়ার বাডস
টিকটক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ এর ভোটিং শুরু টিকটক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ এর ভোটিং শুরু
টেক্সটেক আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৪ এ ট্যালি প্রাইম ৫.০ টেক্সটেক আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৪ এ ট্যালি প্রাইম ৫.০
ভিসাকার্ড পেমেন্টে ফুডপ্যান্ডায় ছাড় ভিসাকার্ড পেমেন্টে ফুডপ্যান্ডায় ছাড়
বাংলালিংকের মাইবিএল অ্যাপে রয়্যাল এনফিল্ড বাইক জেতার সুযোগ বাংলালিংকের মাইবিএল অ্যাপে রয়্যাল এনফিল্ড বাইক জেতার সুযোগ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
২০৩০ সাল নাগাদ ৫ হাজার সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান করবে উল্কাসেমি
দেশের বাজারে লেক্সারের জেন৫ এসএসডি
বাজারে এলো স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট চিপসেটের রিয়েলমি জিটি ৭ প্রো স্মার্টফোন
সর্বাধিক বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় শাওমি রেডমি ১৩সি
নাসার গ্লোবাল ফাইনালিস্টের তালিকায় বাংলাদেশের ‘টিম ইকোরেঞ্জার্স’
দেশের বাজারে ভেনশন ব্র্যান্ডের স্মার্ট ডিসপ্লে যুক্ত পাওয়ার ব্যাংক ও ইয়ার বাডস
টিকটক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ এর ভোটিং শুরু
টেক্সটেক আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৪ এ ট্যালি প্রাইম ৫.০
ভিসাকার্ড পেমেন্টে ফুডপ্যান্ডায় ছাড়
বাংলালিংকের মাইবিএল অ্যাপে রয়্যাল এনফিল্ড বাইক জেতার সুযোগ