বুধবার ● ২৭ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » বাংলালিংক ও টেলিটক এর মধ্যে একটিভ শেয়ারিং চালু
বাংলালিংক ও টেলিটক এর মধ্যে একটিভ শেয়ারিং চালু
বাংলাদেশের টেলিকম খাতে প্রথমবারের মত অপারেটরদের পারস্পরিক নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ভাগাভাগির মাধ্যমে ন্যাশনাল রোমিং সার্ভিস বা একটিভ শেয়ারিং চালু করতে যাচ্ছে বাংলালিংক ও টেলিটক। অপারেটর দুটি যৌথভাবে একটিভ শেয়ারিং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি পাইলট প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছে। এই একটিভ শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে টেলিটক গ্রাহকরা নেটওয়ার্ক কাভারেজ বিহীন এলাকায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষামূলক ফিল্ড ট্রায়ালের সফলভাবে শেষ করার পর প্রতিষ্ঠান দুটি পাইলট প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, আইসিটি টাওয়ারের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সেবা চালুর ঘোষণা দেন। এই সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দুই মাস মেয়াদী এই একটিভ শেয়ারিং বা জাতীয় রোমিং-এর পাইলট প্রকল্পে নির্বাচিত দুই হাজার টেলিটক পোস্ট-পেইড ও প্রি-পেইড গ্রাহকরা বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ভয়েস কল, এসএমএস ও ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবেন। এই পাইলট প্রকল্পের সফলতার ওপর ভিত্তি করে বাংলালিংক ও টেলিটক দেশব্যপী বাণিজ্যিক ভিত্তিতে একটিভ শেয়ারিং চালু করবে।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক অনুষ্ঠানে বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে আমরা বাংলাদেশের টেলিকম খাতে একটিভ শেয়ারিং চালু করতে যাচ্ছি। এর ফলে টেলিটকের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভজনক হতে পারবে। বাংলালিংক ও টেলিটকের এই উদ্যোগকে অনুসরণ করে ভবিষ্যতে অন্যান্য সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানের পথকে তরাান্বিত করবে বলে আশা করেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিটিআরসি সব সময় আন্তঃশিল্প অবকাঠামো ভাগাভাগিকে অগ্রাধিকার দেয় ও এই সংক্রান্ত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ প্রদান করে। বাংলালিংক ও টেলিটকের মধ্যকার সক্রিয় শেয়ারিং (রোমিং) সেবার উদ্বোধন এই ধরণের অংশীদারিত্বের পথকে আরও সুগম করবে। আমরা বাংলালিংক ও টেলিটকের জন্য এই প্রক্রিয়াটি যেনো সহজতর হয় সেই লক্ষ্যে সকল ধরণের সহযোগিতা করবো। একইসাথে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই ফিল্ড ট্রায়াল থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, টেলিটকের সাথে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো একটিভ শেয়ারিং বাস্তবায়ন বাংলালিংকের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এই চুক্তির ফলে, টেলিটক গ্রাহকরা দেশব্যাপী বাংলালিংকের ১৬ হাজারেরও বেশি টাওয়ার সমৃদ্ধ মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, একটিভ শেয়ারিং (রোমিং) এর পাইলট প্রকল্প চালু হওয়া বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য একটি অন্যতম অর্জন। বাংলালিংকের সাথে এই চুক্তি টেলিটক গ্রাহকদের সেবার মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।