মঙ্গলবার ● ১২ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » তিন মোবাইল অপারেটর পেলো ইউনিফায়েড লাইসেন্স
তিন মোবাইল অপারেটর পেলো ইউনিফায়েড লাইসেন্স
ফাইভজিসহ পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের তিনটি মোবাইল অপারেটর (গ্রামীণফোন লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড) এর অনুকূলে ইউনিফায়েড লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত ১১ মার্চ বিটিআরসি’র সম্মেলন কক্ষে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌঃ মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
‘রেগুলেটরি এন্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইনস ফর সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ’ গাইডলাইনের আলোকে অপারেটরদের অনুকূলে সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্স ও রেডিও কমিউনিকেশনস অ্যাপারাটাস লাইসেন্স ফর সেলুরার মোবাইল সার্ভিসেস শীর্ষক ইউনিফায়েড লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়েছে, যার মেয়াদ ১৫ বছর। এর ফলে পূর্বের ২জি, ৩জি, ৪জি প্রযুক্তি এবং তরঙ্গ ফি এর জন্য আলাদা লাইসেন্স এবং নির্দেশিকার পরিবর্তে সব বিষয়কে এক লাইসেন্সের আওতায় আনা হয়েছে। ইউনিফায়েড লাইসেন্সে ৫জি’র ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত অ্যাকসেস তরঙ্গের প্রাপ্যতা ও ব্যাকহল ফাইবারের পাশাপাশি পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবহারের অনুমতি, অফশোর ক্লাউড সুবিধা, রোল আউট বাধ্যবাধকতা, নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা প্রভৃতি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ হতে ‘রেগুলেটরি এন্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইনস ফর সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ’ গাইডলাইনটি অনুমোদিত হওয়ার পর বিটিআরসি হতে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে তা জারি করা হয়।
প্রধান অতিথি জুনাইদ আহমেদ পলক এ সময় তার বক্তব্যে বলেন, বিটিআরসির সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে বর্তমানে টেলিযোগাযোগ খাতে ১৯ কোটি মোবাইল গ্রাহক এবং প্রায় ১৩ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছে। তিনি বলেন, এই ইউনিফায়েড লাইসেন্স টেলিযোগাযোগ খাতে ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে। এর ফলে অপারেটররা আগামীতে গ্রাহককে উচ্চগতির ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করতে পারবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বহুমাত্রিক সেবা প্রদানের সুযোগ থাকায় অপারেটরগুলো তাদের বিনিয়োগের সুফল পাবে এবং সরকারের রাজস্ব আহরণও বাড়বে। ভয়েস কলের পাশাপাশি ডাটার ব্যবহার বাড়ছে জানিয়ে অপারেটরদেরকে ডিজিটাল প্রোডাক্ট চালুর পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌঃ মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফাইভজি প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে অপারেটরদের অনুকূলে তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং একীভূত লাইসেন্স প্রদানের ফলে ফাইভজিসহ নতুন প্রযুক্তিগত সেবা প্রদানে জটিলতা থাকবে না। একীভূত লাইসেন্সের আওতায় নতুন যেসব সেবা প্রদানের সুযোগ রয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলোকে তা দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করার আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম হাবিবুর রহমান, রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ সাহেদুল আলম।
এ সময় বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌঃ শেখ রিয়াজ আহমেদ; অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার মোঃ আমিনুল হক, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু, সচিব (বিটিআরসি) মোঃ নূরুল হাফিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।