রবিবার ● ৩ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » পাঁচ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে অনুদানের ঘোষণা দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক
পাঁচ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে অনুদানের ঘোষণা দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের পাঁচ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, উইমেন এন্ড ই-কমার্সের মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলা এবং ৫০০টি উপজেলায় নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য স্টার্টআপ সিড মানি হিসেবে চলতি অর্থবছরে এই অননুদান চালু করা হবে। এ সময় তিনি জানান, আইসিটি বিভাগের অধীন বিগত দিনে আইডিয়া প্রকল্প হতে ২ হাজার নারী উদ্যোক্তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পূর্বাচলে দেশীয় নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উইমেন এন্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট উই এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘উই কালারফুল ফেস্ট ২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন।
পলক বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসার মাধ্যমে ই-কর্মাস প্রসারিত হচ্ছে। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইসিটি বিভাগ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশে^ বাংলাদেশকে নারীর ক্ষমতায়ন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জেন্ডার সমতার এক রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত উচ্চ গতির ইন্টারনেটের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ১৩ কোটির অধিক। উচ্চ গতির ইন্টারনেট সুবিধা থাকার ফলে দেশের উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য এবং ব্যবসা প্রসার করতে পারছে। সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রয়োজনীয় সেবাটি যেন সুবিধামত সময়ে, জায়গায় এবং মাধ্যমে নিতে পারে সেজন্য ২০০০ এরও অধিক সেবাকে ডিজিটাইজড করা হয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় ৯ হাজারের অধিক ডিজিটাল সেন্টারে প্রায় ১৮ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা কাজ করছেন। যেখানে প্রায় ৫০ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা। এর ফলে একদিকে নারী-পুরুষের বৈষম্য, অপরদিকে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ও গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূর হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, শী পাওয়ার প্রজেক্টের মাধ্যমে ২১টি জেলায় ১০ হাজার ৫০০ জন নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। বাকী ৪৩টি জেলায় হার পাওয়ার প্রজেক্টের মাধ্যমে আরো ২৫ হাজারের অধিক স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ফরেন সার্ভিস অফিসার জেমস গার্ডিনার, বাংলাদেশ হাইটেক-পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরউল্লাহ, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, উইমেন ও ই-কমার্স ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।