বৃহস্পতিবার ● ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীমা শিল্পের গুরুত্ব
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীমা শিল্পের গুরুত্ব
জিয়াউর রহমান, পিএমপি
স্বাধীন বাংলাদেশের রুপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন বাস্তববাদী ও দূরদর্শী নেতা। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন তিনি নিজে যেমন দেখেছেন, তেমনি এ দেশের মুক্তিকামী জনগণকে দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মানে একটি দর্শন, একটি চেতনা। বঙ্গবন্ধুর দর্শণ ও চেতনা নিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি একটি শোষিত বঞ্চিত জাতির সার্বিক মুক্তির দিকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন দর্শন ছিল অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক মুক্তি- যা বিনির্মাণে নিয়ামক ভূমিকায় থাকবে বাংলার সর্বস্তরের জনগণ। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্নপূরন এবং ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে জাতিকে উপহার দেন রুপকল্প-২০২১। রুপকল্প-২০২১ এর প্রধান লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ছিলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা যেখানে চরম দারিদ্র্য সম্পূর্ণভাবে বিমোচিত হবে এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নসহ প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে। রুপকল্প-২০২১ এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গত ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২ এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন এবং উল্লেখ করেন আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ। একই সাথে তিনি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে চারটি স্তম্ভ যথাঃ (১) স্মার্ট সিটিজেন; (২) স্মার্ট গভর্নমেন্ট; (৩) স্মার্ট ইকোনমি এবং (৪) স্মার্ট সোসাইটি এর কথা উল্লেখ করেন।
বর্তমানে সরকার নানাবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। মূলতঃ স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের সকল সেক্টরকে গুরুত্ব দিতে হবে কেননা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমুলক উন্নয়নের কথা বলেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, বর্তমান সরকারের নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে গত তিন দশকে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক ১৪টি সূচকে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপ্তি শিল্প-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্নি খাতে পরিলক্ষিত হলেও বীমা খাতে বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখযোগ্য নয় যদিও দেশের আর্থিক খাত বলতে ব্যাংক ও বীমা দুটি নামই চলে আসে। ব্যাংকের মতো বিমাও দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেবামূলক আর্থিক খাত যেখানে বীমা হলো নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে স্থানান্তর করা। অন্যভাবে বলতে গেলে, বীমা হলো দুটি পক্ষের মধ্যে একটি আইনি চুক্তি, যেখানে একটি পক্ষ বীমা কোম্পানি এবং অন্যপক্ষটি হলো বীমাকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে বীমা কোম্পানী ঝুঁকি গ্রহণ করে এবং বীমাকৃত ব্যক্তি সেই ঝুঁকির বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়াম দিয়ে থাকে। আধুনিক যুগে মানুষ বীমাকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে থাকেঃ যেমন যানবাহন বীমা, ভ্রমন বীমা, সম্পত্তি বীমা, চিকিৎসা বীমা এবং জীবন বীমা পরিকল্পনার অধীনে সুরক্ষা বীমা। অর্থ্যাৎ সকল জীবন বীমা এবং সাধারণ বীমা পরিকল্পনায় মানুষ সাধারণত সম্পত্তি, জীবন ও স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি মৌলিক সুরক্ষার হাতিয়ার হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে বীমা শিল্প। বীমা একটি দেশের মানুষের বীমাযোগ্য ঝুঁকির বিরুদ্ধে সম্পত্তি ও জীবনকে রক্ষা করে। সুতারং, একটি দেশের জিডিপিতে বীমা শিল্প বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বীমা কোম্পানী দ্বারা অর্জিত সকল ধরণের প্রিমিয়াম অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে থাকে এবং একই সাথে বীমা শিল্প অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থেকে। এ সমস্ত কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বীমার ভূমিকা অনস্বীকার্য এবং এটি সেবা খাতের নির্ভরযোগ্য ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আমরা যদি বৈশ্বিকভাবে বীমা শিল্পের দিকে থাকায় তাহলে দেখতে পায় পৃথিবীর উন্নত দেশ সমূহে জিডিপি-তে বীমার অবদান উল্লেখযোগ্য। উদাহরণ স্বরূপঃ যুক্তরাজ্যে জিডিপিতে বীমার অবদান ১১.৮%; যুক্তরাষ্ট্রে ৮.১%; জাপানে ৮.১%; হংকংএ ১১.৪%; সিঙ্গাপুরে ৭%; ভারতে ৪.১%; ব্রাজিলে ৩.২% এবং চীনে ৩%। অথচ বাংলাদেশের জিডিপিতে বীমার অবদান মাত্র ০.৫৬%। এছাড়া, বীমার ঘনত্ব (প্রিমিয়াম পার ক্যাপিটা মার্কিন ডলারে) যুক্তরাজ্য এ ৪৫৩৫ ডলার, যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৪৬ ডলার, জাপানে ৫১৬৯ ডলার, হংকংএ ৩৯০৪ ডলার, ব্রাজিলে ৩৯৮ ডলার, চীনে ১৬৩ ডলার, ভারতে ৫৯ ডলার। পক্ষান্তরে, বীমা প্রিমিয়ামে মাথাপিছু ব্যয় বাংলাদেশে মাত্র ৯ ডলার, যা বিশে^র সর্বনিম্ন। এছাড়া, বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি হাজারে মাত্র ৪ জনের জীবন বীমা রয়েছে যা বিশ্বের সর্বনিম্ন। অর্থাৎ দেশের বেশীরভাগ বীমাযোগ্য জীবন ও সম্পদ বীমার আওতার বহির্ভূত রয়েছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশ জনগণ বীমার আওতায় এসেছে, যেখানে প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার ৪৮ শতাংশ এখন ব্যাংকিং ছাতার নিচে। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে আর্থিক খাতের অন্য অংশের চেয়ে বীমা খাত পিছিয়ে আছে অনেকাংশে। সুতারং, বাংলাদেশের বীমা খাত বৈশি^ক বা অপরাপর তুলনীয় দেশের তুলনায় অনেক ছোট। তবে বাংলাদেশের বীমা খাতের সার্বিক সুশাসন এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা এই খাতকে ব্যাপক সম্ভাবনাময় করে তুলতে পারে।
আশার কথা, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর বীমা শিল্পের উন্নয়ন এবং এ শিল্পের গতিশীলতা আনায়নের লক্ষ্যে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন যথাঃ বীমা আইন ১৯৩৮ পরিবর্তন করে বীমা আইন ২০১০ প্রবর্তন; বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১০; ২০১১ সালে বীমা খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বীমা অধিদপ্তর বিলুপ্ত করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) প্রতিষ্ঠা; জাতীয় বীমা নীতি, ২০১৪ এবং বীমা কর্পোরেশন আইন, ২০১৯ প্রণয়ন। এছাড়া, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বীমা বিধি ও প্রবিধানমালা তৈরী করা হয় এবং বীমাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতায় আনা হয়। সরকারের এসকল সংস্কারের ফলে বীমা শিল্পের গ্রহনযোগ্যতা এবং গুরুত্ব পূর্বের তুলনায় বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১লা মার্চ ২০২০ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১লা মার্চকে জাতীয়ভাবে বীমা দিবস পালনের ঘোষনা দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১লা মার্চ জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা বীমা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এবং বীমা শিল্পের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উম্মোচন করেছে কেননা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বীমা একটি পেশা। বঙ্গবন্ধুর বীমা পেশায় যোগদানের তারিখ ১ মার্চকে (১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন আলফা ইনস্যুরেন্স এর বাংলাদেশ অঞ্চলের প্রধান হিসেবে যোগদান) ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বীমা শিল্পকে এক অনন্য উচ্চতার অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালুর ঘোষনা দেন। ইতিপূর্বে প্রবাসী কর্মীদের সুরক্ষার জন্য প্রবাসী বীমা চালু করা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সার্বজনীন পেনশন পলিসি চালু করা হয়েছে। দেশের সর্বস্তরের জনসাধারনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্যবীমা, সার্বজনীন পেনশনবীমা, কৃষি/ফসলী বীমা প্রচলনের উদ্যোগ ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। বীমা শিল্পে উদ্ভাবন এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ রেগুলেটরি স্যান্ডবক্স গাইডলাইন্স, ২০২৩ জারি করা হয়েছে যার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম দুটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন ও স্মার্ট সোসাইটি গঠনে ইনস্যুরটেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সর্বোপরি জিডিপিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ঘটাতে সক্ষম হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের বীমা শিল্পে মোট ৮১টি বীমা কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে যার মধ্যে ৩৫টি জীবন বীমা কোম্পানি এবং ৪৬টি সাধারণ বীমা কোম্পানি।
বাংলাদেশের বীমা শিল্প বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় নানাবিধ কারনে বাংলাদেশের বীমা শিল্পটি এখনও অবহেলিত যার মূলে রয়েছে এদেশের মানুষের বীমা শিল্পের প্রতি অনভিজ্ঞতা, বীমা সম্পর্কে অসচেতনতা ও ইমেজ সংকট, বীমাদাবি পরিশোধের ক্ষেত্রে জটিলতা ও বিলম্বতা, পলিসি তামাদি হওয়া, আস্থার সংকট, বীমা খাতে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব, দক্ষ এজেন্টের অভাব, বীমা শিল্পের সাথে জড়িত পেশার মানুষের নৈতিক আচরণের অনুপস্থিতি, বিক্রয়োত্তর পরিষেবার অপর্যাপ্ততা এবং উদ্ভাবনী বীমা পণ্যের অভাব। এছাড়া, অতিরিক্ত পরিচালনা ব্যয়, অটোমেশন সমস্যাতো আছেই।
বীমা শিল্পের এই বিদ্যমান সমস্যাগুলো দূর করতে প্রয়োজন বীমা কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, সময়মতো বীমাদাবি পরিশোধের ব্যবস্থা করা, ই-পলিসি চালু, বীমা সেক্টরে অটোমেশনের পাশাপাশি ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা, বীমা সংক্রান্ত গবেষণা বৃদ্ধি, বীমা সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম এবং বিজনেস সামিটের আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ, দরিদ্র মানুষের জন্য পলিসি তৈরি করা, সামাজিক বীমার প্রচলণ, বীমায় নারীর অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করা, দায় বীমার প্রসার করা, সরকারী সম্পত্তির বাধ্যতামূলক বীমা চালু করা, ব্যাংক ইনস্যুরেন্স ব্যবস্থা চালু, নতুন নতুন বীমা পলিসি (গ্রুপ বীমা, ক্ষুদ্র স্বাস্থ্য বীমা, ক্ষুদ্র ঋণ বীমা, কৃষি বীমা, প্রাণি সম্পদ বীমা ইত্যাদি), বীমা বাধ্যতামূলক করতে হবে, বীমা শিল্পে সুশাসন নিশ্চিত করা। প্রকৃতপক্ষে, বীমা শিল্পের উন্নয়নে স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে বীমা খাতকে আকর্ষনীয়, লাভজনক, জনবান্ধব এবং টেকসই শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে বাংলাদেশের জিডিপিতে বীমা শিল্পের অবদান অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং একইসাথে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভবপর হবে বলে আমরা আশাবাদী।
[লেখকঃ উপসচিব ও কনসালটেন্ট, এসপায়ার টু ইনোভেট]