রবিবার ● ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » @নারী » ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত: প্রতিমন্ত্রী পলক
‘হার পাওয়ার’ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত: প্রতিমন্ত্রী পলক
হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা জেলার নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট উপহার ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, হার পাওয়ার প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের নারীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জেলা শিল্পকলা একাডেমী, সাতক্ষীরায় হার পাওয়ার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কলারোয়া, তালা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নারী আইসিটি সেবাদাতা ক্যাটাগরীর ২৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে ল্যাপটপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারেও একজন পুরুষের পাশাপাশি একজন নারী উদ্যোক্তাকে সুযোগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বর্তমানে ৯০০০ ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারে ৫০ শতাংশ নারী ডিজিটাল উদ্যোক্তারা সেবা প্রদান করছেন।
পলক বলেন, সাতক্ষীরার মানুষ এখন শুধুমাত্র মৎস্য সম্পদ রপ্তানি করেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে না, হার পাওয়ার প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের বোনেরা নিজেদের মেধা ব্যবহার করেও এখন বৈদেশিক মুদ্রা আায় করছে। আমরা বিশ^াস করি, মেধাবী তরুণ প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।
অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আশরাফুজ্জমান, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেজুতি, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চারটি ক্যাটাগরিতে (নারী ফ্রিল্যান্সার, নারী আইটি সেবাদাতা, নারী ই-কমার্স প্রফেশনাল ও নারী কল সেন্টার এজেন্ট) মোট ২৫,১২৫ জন নারীকে ৫ (পাঁচ) মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ ও ১ মাসব্যাপী মেন্টরশীপ সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়া সকল সফল প্রশিক্ষণার্থীদের একটি করে ল্যাপটপ প্রদান করা হবে। বর্তমানে ১৩০টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৪০৮টি ব্যাচে ৮৪৬০ জনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।