রবিবার ● ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » আজকের স্টার্টআপই আগামীদিনের ইউনিকর্ন
আজকের স্টার্টআপই আগামীদিনের ইউনিকর্ন
বিকাশ, পাঠাও, চালডালের মতো উদ্যোগ ছোট থেকে শুরু হয়েছিল। সমাজের বিদ্যমান সমস্যার নতুন সমাধান দিয়ে তারা এখন বড় উদ্যোক্তা। চাকরি না করে স্টার্টআপ হিসেবে এখন যারা নাম লেখাচ্ছেন তাদের কেউ কেউ হবে দেশের বড় ‘ইউনিকর্ন’ সেজন্য হাল না ছেড়ে জেগে থাকতে হবে, লেগে থাকতে হবে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সোবহানবাগে ড্যাফোডিল টাওয়ারে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্কের বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সিলারেটর কর্মসূচীর কোহর্ট অনবোডিং শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন (ডিড) প্রকল্প। নতুন উদ্যোক্তাদের ধারণা থেকে শুরু করে বৃদ্ধি পর্যায়ের ডিজিটাল স্টার্টআপসমুহের ব্যবসায়কে বিকশিত ও সফল করার অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে ১৭৫ জন উদ্যোক্তা নিয়ে আরো সাতটি কোহর্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিড প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মো. মনসুর আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ্। গ্লোবাল এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে. এম. হাসান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ভেনচার ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরামর্শক ড. নুরুজ্জামান, বিশ^ব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট হোসনে ফেরদৌস সুমি, ডিড প্রকল্পের ইনোভেশন ও কমার্শিয়াল স্পেশালিষ্ট এ.এন.এম সফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে বিশে^র ২৫ তম অর্থনীতির দেশ। ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের ধাপে ধাপে প্রি-সিড, সিড ফান্ড, কোম্পানি গঠন, আইপি রেজিষ্ট্রেশন, মেন্টরিংসহ বিপণন সহায়তা দিয়ে শুধু দেশের বাজারে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও শক্ত অবস্থান তৈরিতে সহায়তা করা হবে।
বিশ^ব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট হোসনে ফেরদৌস সুমি বলেন, আমাদের প্রাইড প্রকল্পে স্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরীর কার্যক্রমটি বৃহৎ এই প্রকল্পের একটি ছোট অংশ। তবে এই ছোট অংশটিই অনেক ইমপ্যাক্টফুল। এই প্রকল্পে ডিজিটাল স্টার্টআপ, শিল্প উন্নয়ন, বেসরকারী বিনিয়োগ নিয়ে আরো অনেক কাজ আছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ চাকরির বাজারে ঢুকছে। তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা বেশ কঠিন। এর মধ্যে এসএমই উদ্যোক্তারাই ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান তৈরী করছে।