মঙ্গলবার ● ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » নিরাপদ খাদ্য পণ্যের সঠিক উৎস হতে চায় ‘ঘরের বাজার’
নিরাপদ খাদ্য পণ্যের সঠিক উৎস হতে চায় ‘ঘরের বাজার’
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে সরকারের ঘোষিত লকডাউনে জনজীবন কার্যত স্থবির ছিল। মানসম্মত খাদ্যপণ্য ছিল দুষ্প্রাপ্য। মৌলিক চাহিদা পূরণই তখন এক প্রকার চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেই বিরূপ সময়ে কাছের মানুষগুলোকে নির্ভেজাল ও রাসায়নিক মুক্ত খাবার খাওয়ানোর পরিকল্পনা করেন দুই স্বপ্নবান যুবক। স্বল্প কিছু পুঁজি দিয়ে শুরু সেই স্বপ্নযাত্রার। প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা শুরু বগুড়ার বিখ্যাত দই দিয়ে। নিরাপদ খাদ্যপণ্য সহজলভ্য করার সেই স্বপ্ন নিয়ে চট্টগ্রামের দুই তরুণ মো. নাজমুস সাকিব ও জামশেদ মজুমদারের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে ব্র্যান্ড ‘ঘরের বাজার’।
জামশেদ মজুমদার সৌদিআরবে জীবনের উল্লেখযোগ্য একটি সময় কাটিয়েছেন। এই অভিজ্ঞতা থেকে সৌদিআরব থেকে বিখ্যাত আজওয়া খেজুর নিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন জামশেদ মজুমদার। আজওয়া খেজুরের সাফল্য জামশেদ এবং সাকিবকে বাংলাদেশের বাজারে আরও উচ্চ-মানের খাদ্য পণ্য অন্বেষণ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। তারা বাংলাদেশের স্থানীয় আমদানিকারকদের কাছ থেকে অনুরূপ মানের খেজুর খুঁজতে শুরু করে, যা এখন ঘরের বাজার নামে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। ধীরে ধীরে ঘরের বাজার বাদাম এবং মধু থেকে প্রিমিয়াম অফার যেমন আপেল সিডার ভিনেগার, খাঁটি দেশি ঘি, হিমালয় গোলাপী লবণ এবং আরও অনেক কিছুর পরিসর বাড়িয়েছে।
এর মধ্যে গত বছর তাদের নিজস্ব পণ্য ‘হানি নাট’ চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি খামার থেকে সংগ্রহ করা বাদাম এবং মধু থেকে তৈরি একটি শক্তিশালী মিশ্রণ। গুণমান এবং উদ্ভাবনের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে এই ‘হানি নাট’।
লকডাউন সময়ের একটি ছোট বিনিয়োগ আজ একটি সমৃদ্ধ ব্যবসায়িক যাত্রার উজ্জ্বল উদাহরণ। ঘরের বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে www.ghorerbazar.com ওয়েবসাইটে এবং www.facebook.com/Ghorerbazarbd.com ফেসবুক পেজে।