মঙ্গলবার ● ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » আন্তর্জাতিক ডেটা প্রাইভেসি দিবস পালন করেছে ভয়েস
আন্তর্জাতিক ডেটা প্রাইভেসি দিবস পালন করেছে ভয়েস
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভয়েস গত ২৮ জানুয়ারী আন্তর্জাতিক ডেটা প্রাইভেসি দিবস পালন করেছে। সাংবাদিক, নারী ও মানবাধিকার কর্মীদের অনলাইন সুরক্ষা ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসছে ভয়েস। তারই ধারাবাহিকতায় এই দিনটি উদযাপিত হল।
ভয়েসের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সাধারন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনলাইনে কি ধরনের তথ্য আদান প্রদান করা উচিৎ তার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা নেই। ডিজিটাল যন্ত্রপাতিতে ব্যবহৃত এপ্লিকেশনে তথ্য সুরক্ষা এবং অন্যান্য নিরাপত্তামূলক বিষয়াদি সম্পর্কেও ব্যবহারকারীরা সম্মকভাবে অবগত নন। যার ফলে তারা হ্যাকার কর্তৃক বিভিন্ন স্প্যাম ও ম্যালোয়্যারের আক্রমনের শিকার হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য হারিয়ে ফেলেন এবং এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পান না।
ব্যবসায়িক বা চিকিৎসাক্ষেত্রে সেবা নিতে গেলে প্রতিনিয়তই নিজস্ব বা পারিবারিক তথ্য প্রদান করতে হয়। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়শই আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে ভোক্তাদের তথ্যগুলো তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রয় করে দিচ্ছে। তথ্য প্রদানকারীর অনুমতি ছাড়াই তার তথ্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে যা এক ধরনের চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে। জানা যায়, বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে গোপন ক্যামেরা এবং পেনড্রাইভ বসিয়ে বিভিন্ন গ্রাহক বা কার্ড ব্যবহারকারীর তথ্য ও পিন নাম্বার জেনে নেয়। এছাড়া, সরকারি পোর্টালগুলো সর্বতভাবে সুরক্ষিত নয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, সাম্প্রতিককালে, জাতীয় পরিচয় পত্র পোর্টাল থেকে প্রায় ৫ কোটি ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য টেলিগ্রাম নামক একটি মেসেজ এপ্লিকেশনে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। ইদানিংকালে আরও দেখা যায়, সরকারি আমলা, তারকা, খেলোয়াড়, সংবাদকর্মী, মানবাধিকারকর্মী কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের বিভিন্ন ফোনালাপ, অন্তরঙ্গ ছবি, ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়াতে ফাঁস হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নীতিগতভাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩ সম্পর্কে ভয়েস একাধিক পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করেছে। ভয়েসের মতে, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের আওতায় ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে সুরক্ষিত হবে, সেটি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে হবে এবং আইন প্রয়োগে স্বচ্ছ জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তথ্য সুরক্ষায় আইন আছে, কিন্তু তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় গোপন নজরদারির সাথে সম্পর্কিত সংস্থাগুলোকে অবশ্যই বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে নিতে হবে। সরকারি উদ্যোগে যোগাযোগ নজরদারির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি স্বায়ত্বশাসিত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা/পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা উচিৎ যেটি হবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।