বুধবার ● ৪ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বাংলালিংকের আইকন সেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি
বাংলালিংকের আইকন সেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি
সেলফোন অপারেটর বাংলালিংকের আইকন সেবা বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অনুমতি ছাড়াই এ রকম প্রিমিয়াম সেবাদান প্রসঙ্গে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাখ্যা চায় বিটিআরসি। বাংলালিংকের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এ সেবা বন্ধ করতে লিখিত নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর ৬৪ ধারা অনুযায়ী অপারেটরদের যেকোনো ধরনের সেবার মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি বিটিআরসির কাছ থেকে অনুমোদিত হতে হবে। আইকন স্পেশাল চালুর ক্ষেত্রে বিটিআরসির কাছ থেকে কোনো অনুমোদন নেয়নি বাংলালিংক।
গত মাসে এ সেবা সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে চেয়ে বাংলালিংককে চিঠি দেয় বিটিআরসি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলালিংক দেশের টেলিযোগাযোগ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা লঙ্ঘন করেছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির এ সেবা তাত্ক্ষণিকভাবে বন্ধ করার নির্দেশও দেয়া হয়। তা না হলে কমিশন বাংলালিংকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আইকন সেবা বিষয়ে বিটিআরসিকে লিখিতভাবে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বাংলালিংক। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয় বলে আবারও বিটিআরসি চিঠি দেয় বাংলালিংককে। এতে জানিয়ে দেয়া হয়, এ বিষয়ে বাংলালিংকের ব্যাখ্যা যাচাই করে দেখা হয়েছে। তবে তা সন্তোষজনক নয়। আইকন স্পেশাল সেবায় গ্রাহককে বিমান টিকিট দেয়া, অবৈধ বান্ডল অফারসহ আরও কয়েকটি সুযোগ-সুবিধা দেয়া বিটিআরসির নীতিমালাবিরোধী। এ বিষয়ে বাংলালিংকের ব্যাখ্যা যথাযথ নয়। এতে সেবাটি বন্ধে আগের নির্দেশ বহাল থাকবে। এ
সেবা দিতে হলে নতুন করে আবেদন করতে
হবে বাংলালিংককে।
এ প্রসঙ্গে বাংলালিংকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (কমিউনিকেশন্স) শেহজাদ হোসেন বলেন, দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে সেবা দিতে বিটিআরসির সঙ্গে কাজ করছে বাংলালিংক। এ ক্ষেত্রে বিটিআরসির সব নিয়মনীতি মেনে সেবাদান করছে প্রতিষ্ঠানটি। কোনো ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। আইকনের ক্ষেত্রেও যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বাংলালিংক।
জানা যায়, ২০১০ সালের নভেম্বরে আইকন নামের এ প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড চালু করে বাংলালিংক। এ সেবার আওতায় এরই মধ্যে ১০ হাজারের বেশি গ্রাহক আছে তাদের। আইকনের গ্রাহকরা প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির দেয়া বিশেষ ধরনের সুবিধা উপভোগ
করে থাকে।