সোমবার ● ২ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » ইন্টারনেট নজরদারি না করতে চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
ইন্টারনেট নজরদারি না করতে চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের সাইট চীন সরকার নিষিদ্ধ ও বন্ধ করে দেয়ার পর দেশটির সরকারকে ইন্টারনেট নজরদারি না করতে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পরবর্তী সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের পারিবারিক আর্থিক খতিয়ান প্রকাশ করায় ব্লুমবার্গের সাইটটি শনিবার নিষিদ্ধ করে চীন সরকার। ব্লুমবার্গ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে শুক্রবার। খবর সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের।
এক বিবৃতিতে মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইন্টারনেটসহ সংবাদপত্র ও বাক স্বাধীনতাকে চীন যে সুবিধা দেয়, তাকে সম্মান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় চীনকে আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
চীনে সাইটটি বন্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ব্লুমবার্গ কর্তৃপক্ষ। তবে একজন মুখপাত্র টাই ট্রিপেপ জানান, ব্লুমবার্গের সাইট ও এর ব্যবসায়িক সাময়িকী বিজনেস উইক বন্ধ করে দেয়াটা দুর্ব্যবহারের নামান্তর।
বার্তা সংস্থাটির বিশেষায়িত সেবা ‘ব্লুমবার্গ টারমিনাল’ অবশ্য বন্ধ করা হয়নি চীনে। এ সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন, এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের নানা তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। ব্লুমবার্গের রাজস্বের বিরাট একটি অঙ্কও আসে এ উত্স থেকে।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এমনিতেই চীনে ইন্টারনেটের ওপর ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ রয়েছে। এ বছর তা আরও জোরদার করা হয়। ব্লুমবার্গ বন্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে চীনের কর্মকর্তারাও কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
শুক্রবার ব্লুমবার্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের পারিবারিক সম্পত্তির খতিয়ান উল্লেখ করা হয়। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, প্রতিবেদনটিতে আপত্তিকর কোনো মন্তব্য বা তথ্য নেই। এমনকি সরাসরি জিনপিংয়ের কোনো উল্লেখ নেই। তবে চীনের বিশ্লেষকরা মনে করেন, তার পরিবারের বিপুল সম্পত্তির খতিয়ান সাধারণ চীনাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। এতে ধনী-গরিবের সম্পত্তির আকাশ-পাতাল পার্থক্যের কথাই ফুটে ওঠে।
ব্লুমবার্গের সাইট ছাড়াও এ ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে চীনের মাইক্রো ব্লগিং সাইট সিনা ওয়েবোতেও। সাইটটিতে যেসব পোস্টে ‘ব্লুমবার্গ’ ‘ক্রাউন প্রিন্স’ ‘জি জিনপিং’ শব্দগুলো উল্লেখ ছিল, সেগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সার্চ ইঞ্জিন থেকে ‘জি’ শব্দটি অনুসন্ধান করার সুবিধাও বন্ধ রাখা হয়।
চীনে বিতর্ক তৈরি করা ব্লমবার্গের ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রতিবেদনও মুছে ফেলা হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে জিনপিংয়ের বাবা জি জংজুন, শ্যালক ডেং জিয়াগুই ও তাদের পারিবারিক ব্যবসা নিউ পোস্টকম সম্পর্কিত প্রতিবেদন।