বুধবার ● ৬ জুলাই ২০১১
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » ভেহিক্যাল ট্র্যাকার দিয়ে ট্রাকের গতি রোধ হলেও ছিনতাই ঠেকানো যায়নি
ভেহিক্যাল ট্র্যাকার দিয়ে ট্রাকের গতি রোধ হলেও ছিনতাই ঠেকানো যায়নি
।।ডিজিটাল বাংলা ডেস্ক।।
ভেহিক্যাল ট্র্যাকার দিয়ে শনাক্ত হলো ছিনতাইকারীরা ট্রাকটি ছিনতাই করে কিভাবে নিয়ে গেছে। এক পর্যায়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের ভেহিক্যাল ট্র্যাকার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে গাড়ির স্ট্রার্ট সুইচ বন্ধ করে দিলে ছিনতাইকারী ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায়। তবে এর আগেই ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করা ১৩ টন ফ্লাট বার (গ্রীল) বিক্রি করে দেয়। শ্যামপুর থানা পুলিশ রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকার ভাই ভাই ট্রেডার্স থেকে ছিনতাই করা ১৩ টন ফ্লাট বারের মধ্যে ৩ টন উদ্ধার করে। গ্রেফতার করে ঐ প্রতিষ্ঠানের দুই ব্যবসায়ীসহ একজন কর্মচারীকে। পুলিশ নারায়াণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটী এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিনতাই করা ট্রাকটি উদ্ধার করে।
শ্যামপুর থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন খান জানান, গত ২৬ জুন শ্যামপুর রেলগেট সংলগ্ন ইসলামীয়া এ্যান্ড ব্রাদার্স প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩ টন ফ্লাট বার একটি ট্রাকে বগুড়ার একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। ঐ দিন রাতে সাভারের হেমায়েতপুরে ছিনতাইকারীরা ট্রাকের গতিরোধ করে চালক ও হেলপারকে মারপিট করে ট্রাকটি ছিনতাই করে। ছিনতাইকারীরা কদমতলীর একটি দোকানে ছিনতাই করা ফ্লাট বার বিক্রি করে দেয়। ট্রাকটি ফতুল্লার পঞ্চবটী এলাকায় নিয়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে শ্যামপুরের ইসলামিয়া এ্যান্ড ব্রাদার্সের ম্যানেজার আব্দুল কাদির বাদী হয়ে শ্যামপুর থানায় একটি মামলা করেন। এরপরে পুলিশ ঐ ট্রাকের মালিকের কাছ থেকে জানতে পারে গাড়িতে ভেহিক্যাল ট্র্যাকার বসানো রয়েছে। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা অফিসের কার্যালয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঐ ট্রাকের অবস্থান জানতে পারে। ঐ তথ্য অনুযায়ী পুলিশ কদমতলীর ভাই ভাই ট্রেডার্সে অভিযান চালায়। ঐ দোকানের মালিক হানিফ ও রিপন জানায় যে, তারা একটি ছিনতাইকারী চক্রের কাছ থেকে ১৩ টন ফ্লাট বার কিনেছিল।