বুধবার ● ২০ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » ২০২০ সালে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে রাজস্ব বাড়বে ১৭%
২০২০ সালে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে রাজস্ব বাড়বে ১৭%
বৈশ্বিক পর্যায়ে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ব্যবহার বাড়ছে ও একই সঙ্গে বাড়ছে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২০ সালে বৈশ্বিক পাবলিক ক্লাউড সার্ভিসেস বাজারের রাজস্ব ১৭ শতাংশ বেড়ে ২৬ হাজার ৬৪০ কোটি ডলারে পৌঁছবে, যা চলতি বছরের ২২ হাজার ৭৮০ কোটি ডলারের চেয়ে বেশি। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের এক প্রতিবেদনে এমনটাই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন।
বিবৃতিতে গার্টনারের রিসার্চ ভাইস প্রেসিডেন্ট সিধ নাগ বলেন, ক্লাউড অ্যাডাপশন এখন মূল ধারার প্রযুক্তি হয়ে উঠেছে। ছোট-বড় সব ধরনের এন্টারপ্রাইজ এখন ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। ক্লাউড প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় পারফরম্যান্স বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। যে কারণে এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানগুলোয় এ প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ডিজিটাল ব্যবসায় দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তির বিকল্প সৃষ্টি হয়নি।
গার্টনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি খাতে ‘সফটওয়্যার অ্যাজ এ সার্ভিস’ বা ‘স্যাস’ সেবা বৃহত্তর মার্কেট সিগমেন্ট হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী এখন সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সফটওয়্যারের ব্যবহার বাড়ছে। আগামী বছর সফটওয়্যার অ্যাজ এ সার্ভিস সেবার বাজার বেড়ে ১১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে। ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি খাতে ‘ক্লাউড সিস্টেম ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেস’ দ্বিতীয় বৃহত্তম সিগমেন্ট হয়ে উঠেছে। আগামী বছর ক্লাউড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেবার বাজার ২৪ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছবে।
বৈশ্বিক ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি ব্যবসা খাতে ওরাকলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস ও মাইক্রোসফট। ক্লাউডের বৈশ্বির বাজারে বিদ্যমান প্রতিযোগিতায় নিজেদের সক্ষমতা আরো বাড়ানো এবং আগামী বছর নাগাদ অর্থ ও বিপণন খাতের মতো বিভিন্ন খাতে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে ওরাকলের। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গত মাসে বিশ্বব্যাপী নতুন করে দুই হাজার কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন নিয়োগ দেয়া কর্মীদের বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল, সানফ্রান্সিসকো ও ভারতে নিযুক্ত করা হতে পারে।
এ বিষয়ে ওরাকলের ক্লাউড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইউনিটের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ডন জনসন বলেন, ওরাকল এখন ১৬টি ভাগে অঞ্চলভিত্তিক ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি সেবা দিচ্ছে। আগামী বছর নাগাদ এ অঞ্চলভিত্তিক বিভাজন আরো ২০টি বাড়ানো হবে। নতুন করে এশিয়া ও ইউরোপের কিছু অঞ্চল ভাগ করার পাশাপাশি চিলি, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সেবা বাড়াবে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্য দিয়ে আরো বেশি পরিমাণে গ্রাহকের দোরগোড়ায় ক্লাউড সেবা নিয়ে যেতে সক্ষম হবে ওরাকল, যা বৈশ্বিক পাবলিক ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি খাতের রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।