মঙ্গলবার ● ১৯ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বাতাসের বিষ দূর করবে বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কার
বাতাসের বিষ দূর করবে বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কার
গ্রিনহাউস গ্যাস আমাদের গ্রহে ডেকে আনছে বিপর্যয়। বাড়ছে তাপমাত্রা। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গলছে মেরু অঞ্চলের বরফ। এতে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। বিভিন্ন দেশের উপকূলবর্তী এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। ঝড়, অতিবৃষ্টি ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তীব্রতাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছর আশ্রয়হীন হচ্ছে বহু মানুষ। আর এসব গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী বিশ্বজুড়ে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া বা বায়ুদূষণ।
বায়ুমণ্ডলে প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে দিচ্ছে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই ভাবছেন, কীভাবে বাতাস থেকে কার্বন কমানো যায়। এবার একদল বিজ্ঞানী এ ক্ষেত্রে নতুন দিশা পেয়েছেন। তারা নিকেল ও লোহা দিয়ে এমন একটি যৌগ তৈরি করেছেন যা অনুঘটক হিসেবে খুবই কার্যকর। প্লাটিনামের চেয়ে এর ব্যয় অনেক কম। নতুন এ অনুঘটক বাতাসে থাকা কার্বন ডাই-অক্সাইড অণুকে সহজেই ভেঙে ফেলতে পারে। শুধু তাই নয়, একে ভেঙে এমন ধরনের পদার্থে পরিণত করতে পারে, যা আমাদের উপকারে ব্যবহার করা যাবে। এক থেকে দেড় দশকের মধ্যেই এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো সম্ভব হবে।
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস’-এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে। গবেষকরা আশা প্রকাশ করেন, এ উদ্ভাবন আমাদের প্রতি মুহূর্তে শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য দরকারী বায়ুকে বিষমুক্ত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।
কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের একটি অণু তৈরি হয় একটি কার্বন পরমাণু আর দুটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে। আর সেই কার্বন পরমাণুর সঙ্গে অক্সিজেন পরমাণু দুটির বন্ধন খুবই শক্তিশালী। এ অণুকে ভাঙা মোটেই সহজ নয়। বহুদিন ধরেই একে ভাঙার একটা সহজ কৌশল সন্ধান করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। কার্বন ডাই-অক্সাইডকে ভাঙতে এতদিন প্লাটিনাম ব্যবহারের কৌশল তাদের জানা ছিল। এ প্রক্রিয়াটি ধীরগতির। তাছাড়া প্লাটিনাম ধাতু বেশ দুর্লভ ও দামি হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবেও সফল বিবেচিত হচ্ছিল না। ফলে বিজ্ঞানীদের নতুন এ আবিষ্কার আশার আলো দেখাচ্ছে পৃথিবীকে।