বৃহস্পতিবার ● ৭ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » ইন্টারনেট দুর্ভোগে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
ইন্টারনেট দুর্ভোগে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা মানসম্মত ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন না। নামেমাত্র ওয়াইফাই (তারবিহীন ইন্টারনেট) সেবা থাকলেও দুর্বল ফ্রিকোইন্সির কারণে বিড়ম্বনায় পড়ছে শিক্ষার্থীরা। ফলে ই-লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেবা উন্নয়নের জন্য বারবার অভিযোগ জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আওতায় বাংলাদেশ শিক্ষা ও গবেষণা নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় তিন কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সব জায়গায় বিনামূল্যে ওয়াইফাই ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসের সব জায়গা, একাডেমিক, প্রশাসনিক হলসহ মোট ১৯৯টি রাউটার স্থাপন করা হয় এর মধ্যে রাউটার স্থাপন করার সাথে সাথেই ২৫টি রাউটার নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ক্যাম্পাসে রাউটার বসালেও একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল, শহীদ মিনার, জয় বাংলা, টিএসসি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষকদের দেওয়া ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট ও অনলাইনে বিভিন্ন বই খোঁজার জন্য শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।
বিভিন্ন স্থানের ওয়াইফাইগুলো কাজ না করার কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের ডেটাবেস প্রগ্রামার মো. ফিরোজ আলম বলেন, একটি রাউটার দিয়ে প্রায় ৬০ মিটার এরিয়া কভার করা যায় কিন্ত রাউটারগুলোর যে ধরনের কনফিগারেশন সেই অনুযায়ী কাজ করছে না। এ ব্যাপারে আমরা এই প্রকল্পের সাথে যারা আছে তাদেরকে বিষয়টা জানিয়েছি এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
প্রকল্পের সমন্বয়কারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম তাওহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা নেটওয়ার্ক না থাকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে যারা বাংলাদেশ শিক্ষা ও গবেষণা নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) প্রকল্পের সাথে আছে আমরা তাদেরকে বিষয়টা জানিয়েছি। তারা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।