বুধবার ● ৬ জুলাই ২০১১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মেবাইলফোন অপারেটরদের নিরীক্ষা কার্যক্রম চালাতে আর বাধা নেই
মেবাইলফোন অপারেটরদের নিরীক্ষা কার্যক্রম চালাতে আর বাধা নেই
মেবাইলফোন অপারেটরদের হিসাব নিরীক্ষায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ প্রশ্নে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। গত ২৩ জুন হাইকোর্ট দুটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া নিয়োগের কার্যকারিতা চার মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন।
এই আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন স্থগিতাদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হওয়ায় চলমান দুই মেবাইলফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের নিরীক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিটিআরসির আর কোনো বাধা নেই বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
আদালতে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, আবদুল মতিন খসরু প্রমুখ। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, হাইকোর্টের আদেশ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ১০ জুন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য আসবে।
জানা গেছে, মেবাইলফোন অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষণের জন্য গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আবেদনপত্র আহ্বান করে বিটিআরসি। সংক্ষিপ্ত তালিকায় সাতটি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ পায়। এরপর গত ৫ এপ্রিল দুটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোম্পানি এবং এম এ ফজল অ্যান্ড কোম্পানি। তবে অনুমোদনের পর ১৯ এপ্রিল আহমেদ জাকের নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করার কথা জানালে যুক্ত হয় আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী নামের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এর আগে কে এম আলম অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করে, বিটিআরসি যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অডিট ফার্ম নিয়োগ করেছে, তা সরকারের পিপিআর অনুসরণ করে হয়নি। এ বিষয়ে বিটিআরসি ও সিপিটিইউর কাছে নালিশ করে তারা। পরে সিপিটিইউর এক রিভিউ প্যানেল কে এম আলমের অভিযোগ সত্য রায় দিয়ে বিটিআরসিকে পুনরায় পিপিআর অনুসরণ করে অডিট ফার্ম নিয়োগে পরামর্শ দেয়। ওই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য বিটিআরসিকে ২৪ মে এক চিঠি দেয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। ২৬ মে ফিরতি চিঠিতে বিটিআরসি জনস্বার্থে নিরীক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কে এম আলম অ্যান্ড কোম্পানি হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন ও স্থগিতাদেশ দেন।