বুধবার ● ৬ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » ফাইভজি প্রযুক্তি বাস্তবায়নে অংশীদার হতে চায় বিশ্ব ব্যাংক
ফাইভজি প্রযুক্তি বাস্তবায়নে অংশীদার হতে চায় বিশ্ব ব্যাংক
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারাও অংশীদার হতে চায়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে তার দফতরে বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সিও চিউ কুয়াকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে সহায়তা দেয়ার আগ্রহের কথা জানান। বিশ্বব্যাংক টেলিযোগাযোগ খাতকে বাংলাদেশের একটি সম্ভবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়সহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস ও টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মহসিনুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূর দৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে সূচিত ডিজিটাল এই বিপ্লব পৃথিবীকে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের পথ চিনিয়েছে। ডিজিটাল বিপ্লবকে শাণিত করতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে প্রযুক্তির অভাবনীয় ভার্সন ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তির পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্প্রসারণে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচী তুলে ধরে বলেন, ফাইভ-জি প্রযুক্তি কেবল কথা বলার প্রযুক্তি নয়, কৃষি, মৎস্যসহ শিল্পের প্রতিটি শাখায় অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা করবে, সভ্যতার পরিবর্তন ঘটাবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল দেশের অগ্রগতির প্রতিটি সূচকসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। এছাড়াও ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে ৭ নবেম্বর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রতিনিধিদলের সদস্য ছিলেন, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট রাজেন্দ্র সিংহ ও বিশ্ব ব্যাংকের শিক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ টিএম আসাদুজ্জামান।